গোঘাটে ‘গুপ্তধন’! বাড়ি ভাঙতেই মিলল রৌপ্যমুদ্রা


মাটির দেওয়ালে গাঁইতির ঘা পড়তেই তামার কলসি ভরা রুপোর মুদ্রার বৃষ্টি!

সোমবার সকালে গোঘাটের মধুবাটীর হাতুড়ে চিকিৎসক নাথুরাম মণ্ডলের বাড়িতে 'গুপ্তধন'-এর খবরে তোলপাড় হল এলাকা। ভিড় জমে উঠল মুহূর্তে। এলেন প্রশাসনের কর্তারা। ৩৩টি মুদ্রা উদ্ধার করে নিয়ে গেল পুলিশ।

বছর নয়েক আগে হরিশচন্দ্র মণ্ডল নামে এক স্থানীয় কৃষিজীবীর কাছ থেকে ওই পুরনো দোতলা মাটির বাড়িটি কিনেছিলেন নাথুরামবাবু। এ বার বাড়িটি পাকা করার ইচ্ছে তাঁর। রবিবার থেকে শুরু হয়েছিল ভাঙার কাজ। এ দিন প্রায় ৪০ ফুট উঁচু থেকে একটি দেওয়াল ভাঙার সময়ে ভিতরে থাকা তামার কলসিটিও বেরিয়ে নীচে পড়ে।

গোঘাট-২ ব্লকের বিডিও অরিজিৎ দাস জানান,  আপাতত ব্রিটিশ আমলের ৩৩টি রুপোর মুদ্রা মিলেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে পুরনোটি ১৮৭৭ সালের। কয়েকটিতে রাজা পঞ্চম জর্জের প্রতিকৃতি রয়েছে। এর পুরাতাত্ত্বিক গুরুত্ব খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হবে। তবে, ওই কলসিতে আরও কিছু মুদ্রা ছিল বলে দাবি বাড়ি ভাঙার কাজে যুক্ত শ্রমিকদের। তাঁদেরই এক জন বলেন, ''কলসিটা মাটিতে পড়তেই মুদ্রাগুলি ছড়িয়ে পড়েছিল। যাঁরা জড়ো হয়েছিলেন, তাঁরা অনেকেই কুড়িয়ে নিয়েছেন।'' আর কারও কাছে ওই মুদ্রা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিবারকে নিয়ে ওই বাড়ির অবশিষ্ট অংশে বাস করেন নাথুরামবাবু। ঘটনার সময়ে তিনি এবং ছেলে নৃপেন বাড়িতে ছিলেন না। ছিলেন নৃপেনের স্ত্রী মৌসুমি। তিনিই স্বামীকে খবর দেন। নৃপেন দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন। তিনি বলেন, "ফিরে দেখি, কলসিতে তখনও ২৯টি মুদ্রা আছে। পুলিশকে দিয়ে দিয়েছি। আরও চারটি মুদ্রা পুলিশ ভিড় করা লোকজনের থেকে উদ্ধার করেছে।''