পুজোর কলকাতায় আকাশছোঁয়া হতে পারে পোশাক-মূল্য


কলকাতা: হাতে আর বেশি সময় নেই৷ দু'মাস পরই শারোদৎসব৷ সেই উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোরকদমে৷ কেউ জামা-কাপড় কেনা শুরু করে দিয়েছেন, তো কেউ কেউ আপাতত বানিয়ে ফেলছেন পুজোর পোশাকের তালিকা৷ ভাবছেন হাল ফ্যাশনের কী কী পোশাক কেনা যায় এবার পুজোয়৷

ফলে শিরোনাম দেখে চমকে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ কারণ, এবার দুর্গাপুজোয় এমন ঘটনা ঘটার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ অন্তত এমনটাই আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ৷

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, ব্যবসায়ীরা কেন এমন আশঙ্কা করছেন? জানা গিয়েছে, এই আশঙ্কা তৈরি রয়েছে খিদিরপুর ডক সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে৷

কী সেই সিদ্ধান্ত? জানা গিয়েছে, ঠিক পুজোর মুখে খিদিরপুর ডক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ৷ সোমবার থেকে ওই ডক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ আগামী দু'মাস বন্ধ থাকবে৷ যার অর্থ পুজোর আগে আর ওই ডক খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই৷

কিন্তু ডক বন্ধ হওয়ার সঙ্গে পুজোর বাজার আগুন হওয়ার যোগসূত্র কোথায়? ব্যবসায়ীদের একটি অংশ বলছে, বিদেশি জামা-কাপড়, পোশাক তৈরির সরঞ্জামের একটা বড় অংশ জাহাজেই আসে৷ যা খিদিরপুর ডক থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে যায়৷

কিন্তু পুজোর মুখে বন্দর কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের জেরে সেই কাজ গতি হারাবে৷ সমস্যা হবে পণ্য-পরিবহণে৷ পুজোর পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও বেশি কর্মী নিয়োগ করতে হবে৷ আর তাতেই দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীদের ওই অংশ৷ অনেকের দাবি, একই সঙ্গে অন্যান্য পণ্যের দাম লাগামছাড়া হতে পারে৷

যদিও কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট জানাচ্ছে, পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার সবরকম চেষ্টা করা হবে৷ তাছাড়া খিদিরপুর ডক বন্ধ থাকলেও খোলা থাকছে পাশের নেতাজি সুভাষ ডক৷ সেখানেই পণ্য ওঠানামা করবে৷

কিন্তু ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, খিদিরপুর ডকে ১৮টি বার্থ৷ এছাড়াও রয়েছে তিনটি ড্রাই ডক৷ অন্যদিকে নেতাজি সুভাষ ডকে বার্থের সংখ্যা মাত্র তিন৷ ফলে কোনও ভাবেই আগের মতো পরিষেবা সম্ভব নয়৷