খাওয়ার জন্য টাকা চেয়েছিল বাবা, কামড়ে বুকের মাংস খুবলে নিল ছেলে!


কামড়ে বাবার বুকের মাংস খুবলে নিল ছেলে। লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটাল বাবা। সন্তানের হাতে অসহায় বার্ধক্যের ভয়ঙ্করভাবে অত্যচারিত হওয়ার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে।

জয়নগরের ধোসা চন্দনেশ্বরে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন বৃদ্ধ গোপাল বাসার। বয়সের ভারে এখন আর সেভাবে কর্মক্ষমতা নেই । ফলে রোজগারও নেই। এদিকে জীবনের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে দুই ছেলেকে সোনারপুরে জায়গা কিনে বাড়ি করে দিয়েছেন। তারপর থেকে ছোটছেলে-ই বাবা, মায়ের সঙ্গে দেখা করতেন। কিন্ত, সম্প্রতি ছোটোছেলের একার পক্ষে সব খরচ চালানো সম্ভব হয়ে উঠছিল না। তাই বড়ছেলে নীলমণি বাসারকে মাসোহারা দিতে অনুরোধ করেন গোপাল বাসার। তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য মাসে মাত্র ১ হাজার টাকা করে দিতে বলেন তিনি।

অভিযোগ, বাবার এই প্রস্তাব শুনেই অসন্তুষ্ট হন নীলমণি। বেঁকে বসেন গোপাল বাসারের ছেলে। এরপরই গ্রামবাসীদের মধ্যস্থতায় আলোচনা বসে দুপক্ষ। সেখানে গোপাল বাসারের কথা মতো তাঁকে টাকা দেওয়ার জন্য বলা হয় বড়ছেলেকে। আলোচনা সভায় বিষয়টি মেনে নেন নীলমণি। কিন্তু তারপরেও বৃদ্ধ বাবা-মাকে নীলমণি বাসার কোনও সাহায্য করেননি বলে অভিযোগ।

এরপরই খোরপোষ চেয়ে বারুইপুর আদালতে মামলা করেন গোপাল বাসার। শুক্রবার সেই মামলার নোটিস পান নীলমণি বাসার। অভিযোগ, মামলার নোটিস পাওয়ার পরই সোনারপুর থেকে জয়নগরে গিয়ে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপর চড়াও হন নীলমণি বাসার। লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করেন বাবা-মাকে। কামড়ে গোপাল বাসারের বুকের থেকে মাংস খুবলে নেন তিনি।

মারের চোটে গুরুতর জখম হয়েছেন গোপাল বাসার ও তাঁর স্ত্রী। লাঠির আঘাতে গোপাল বাসারের মাথা ফেটে গেছে। মারের চোটে গুরুতর জখম অবস্থায় বর্তমানে বিছানায় শয্যাশায়ী গোপাল বাসারের স্ত্রী-ও। গোপাল বাসারের দাবি, টাকা চাওয়ায় এর আগেও তাঁদের উপর হামলা করেছিল বড়ছেলে নীলমণি বাসার।