গুগল না প্রত্যাখ্যান করলে হতই না ফ্লিপকার্ট, খোলামেলা আলোচনায় বিনি বনসল


ভাগ্যিস গুগল তাঁকে কাজে নিতে চায়নি, নাহলে হয়তো ভারতের সবচেয়ে বড় ইকমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের জন্মই হত না। এরকমটাই জানিয়েছেন ফ্লিপকার্ট সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা বিনি বনসল। তিনি জানিয়েছেন ২০০৫ ও ২০০৬-এ দু-দুবার তিনি গুগল সংস্থায় প্রযুক্তি বিষয়ক চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু দুবারই তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার স্যাপ ল্যাবে ভারতের দ্বিতীয় অ্যাক্সেলেটর প্রোগ্রামের সূচনা অনুষ্ঠানে এসে বিনি দর্শকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় মেতে ওঠেন। হাল্কা মেজাজে জানান ফ্লিপকার্ট ও তাঁর জীবনের নানা অজানা দিক।

বিনি ছিলেন দিল্লি আইআইটির ছাত্র। পড়াশোনা শেষ করে তিনি প্রথমে কাজ নেন সার্ণঅফ কর্প সংস্থায়। সেখান থেকে আরও উন্নতির আশাতেই তিনি গুগলে চাকরির আবেদন করেছিলেন। দুবার ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁকে অ্যামাজন সংস্থায় ডেকে নেন দিল্লি আইআইটিতে তাঁর সিনিয়র শচিন বনসল।

তবে শচিনের রেকমেন্ডেশনে তাঁর অ্যামাজনে যোগ দেওয়া নিয়েও রয়েছে মজার ঘটনা। বিনি জানিয়েছেন, অ্যামাজনের নিয়ম অনুযায়ি, বিনিকে রেকমেন্ড করার জন্য অ্যামাজনের কাছ থেকে বড় অঙ্কের বোনাস পেয়েছিলেন শচিন। কিন্তু কয়েকমাস পরেই বিনি সেই চাকরি ছেড়ে দেন। তখন আবার সেই বোনাস ফেরত দিতে হয়েছিল শচিনকে। নিয়ম অনুযায়ী একচি নির্দিষ্ট সময় বিনি চাকরি করলে তবেই সেই বাড়তি অর্থ রাখতে পারতেন শচিন।

এরপরই দুজনে মিলে গড়ে তুলেছিলেন ফ্লিপকার্ট। বাকিটা ইতিহাস। তবে এখনও তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জ কম নয়। বিনি জানিয়েছেন কোটি কোটি ভারতবাসীকে তাঁর সংস্থার প্রতি আকৃষ্ট করতে পারলেও ব্যর্থ হয়েছেন নিজের বাড়িতেই। তাঁর স্ত্রী নাকি এখনও ফ্লিপকার্টের থেকে তাজা ফল সব্জি কেনার ব্যাপারে 'বিগ বাস্কেট'-এর মতো সংস্থাগুলির উপরই বিশ্বাস রাখেন। কাজেই স্ত্রীকে ফ্লিপকার্ট থেকে সব্জি কেনানো ও তাদের নতুন নতুন ফিচারগুলি ব্যবহারে রাজি করানোটাই এখন তাঁর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন বিনি।