লোকাল ট্রেনেও বসবে সিসিটিভি ক্যামেরা


নয়াদিল্লি : কলকাতা-হাওড়ার লোকাল ট্রেনগুলিতে বসছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে রেলমন্ত্রক। তবে সর্বাগ্রে রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। তারপর মুম্বই শহরতলির ট্রেনগুলিতে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। তৃতীয় ধাপে কলকাতা এবং হাওড়ার লোকাল ট্রেনগুলিতে এহেন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটানো হবে। একইসঙ্গে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বই-দিল্লির পাশাপাশি দিল্লি-হাওড়া রুটের সমস্ত ট্রেনের গতিবেগ বৃদ্ধির ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। সেক্ষেত্রে এই রুটে যাতায়াতকারী সমস্ত ট্রেনের গড় গতিবেগ করা হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার।

উল্লেখ্য, ২০১৮-'১৯ সালের আর্থিক বাজেটেই যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেনগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবং সেইমতোই প্রথমে উল্লিখিত প্রিমিয়াম ট্রেনগুলির প্রতিটি কোচে অন্তত চারটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করেছে রেলমন্ত্রক। তারপর ধাপে ধাপে মুম্বই শহরতলি এবং কলকাতা ও হাওড়ার লোকাল ট্রেনগুলিতে এই ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর। এরই পাশাপাশি দেশের প্রায় সাড়ে আট হাজার স্টেশনের প্রতিটিতেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে একমাত্র যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আজ রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রী সুরক্ষার পাশাপাশিই যাত্রী পরিষেবার ক্ষেত্রেও অত্যধিক জোর দেওয়া হচ্ছে। আর সেই লক্ষ্যে সময়ে ট্রেন চালানোর বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উদ্দেশ্যে সমস্ত লোকোমোটিভে জিপিএস ব্যবস্থা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলা সত্ত্বেও ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা মাত্র সাড়ে তিন মাসে ২২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। রেল সূত্রের খবর, ২০২০ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর খুলে দেওয়া হবে। ফলে লাইনের উপর চাপও কমবে। রেল জানিয়েছে, এই সমস্যার সমাধানে ইতিমধ্যেই সারা দেশে প্রায় ১৮ হাজার রেল লাইন ডাবলিংয়ের অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে রেলমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, ক্যাগ রিপোর্টে নির্দিষ্ট করে সুপারিশ করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এই মুহূর্তে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিতে ফ্লেক্সি ফেয়ার ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হচ্ছে না। অর্থাৎ ১০ শতাংশ আসন ভর্তি হয়ে গেলেও রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্ত এক্সপ্রেসের টিকিটে দাম বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত, তা চালু থাকছে আগের মতোই। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংসদে পেশ করা রিপোর্টে ফ্লেক্সি ফেয়ার ব্যবস্থা রেলকে পুনর্বিবেচনা করে দেখার সুপারিশ করেছিল ক্যাগ। অন্যদিকে, কেরলের বন্যা প্রসঙ্গে এদিন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, ভিন দেশ থেকে কেরলের জন্য ত্রাণ সামগ্রী এলে তার কাস্টমস ডিউটি এবং জিএসটি মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। পাশাপাশি রেলকর্মীদের একদিনের বেতন মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করার আর্জিও জানানো হয়েছে।