মুরগির খাঁচায় মরণফাঁদ, খেলতে গিয়ে মৃত্যু ২ বছরের শিশুর


প্রত্যেকদিন ওই জায়গাতেই খেলে ভাইবোন। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও খেলছিল। পাশেই পোলট্রি ফার্ম। দূর থেকে ছোট্ট ছোট্ট মুরগির ছানা দেখলেও, মা বারণ করে দেওয়ায় এর আগে কোনওদিনও তাদের কাছে যায়নি বছর দুয়েকের ইন্দ্রাক্ষী সরকার ও তার পাঁচ বছরের দাদা কৌশিক। কিন্তু এদিন ভুলটা করে ফেলেছিল।

ছোট্ট মুরগির ছানা কাছ থেকে দেখার জন্য একেবারে পোলট্রি ফার্মে ঢুকে পড়েছিল ভাইবোন। মুরগির ছানাদের সঙ্গে ইশারায় কথা বলার ফাঁকেই ইন্দ্রাক্ষী কখন ছুঁয়ে ফেলেছিল খাঁচা। বোনকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে, তার গায়ে হাত দেয় দাদা। দুজনের মুখ দিয়েই গ্যাজলা বেরোতে থাকে। ছেলেমেয়ে অনেকক্ষণ বাড়ি না ফেরায় পোলট্রি ফার্মের কাছে যেতে বাবা-মা যা দেখলেই, তাতে ছ্যাঁক উঠল বুকটা। কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানা এলাকার বানেশ্বরের ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।

ইন্দ্রাক্ষী ও কৌশিক ভাইবোন। পাশের বাড়ির পাশেই থাকেন পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিত্ দাস। তাঁর বাড়িতে পোলট্রি ফার্ম রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানেই খেলছিল ইন্দ্রাক্ষী ও কৌশিক। কিন্তু মুরগির খাঁচাতেই ছিল মরণফাঁদ। খেলতে গিয়ে বুঝতেই পারেনি দুবছরের শিশুকন্যা। খেলতে খেলতে মুরগির খাঁচা ছুঁয়ে ফেলাতেই মৃত্যু হল তার। বোনকে ধরায় বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয় তার পাঁচ বছরের দাদাও। এম জে এন হাসপাতালে শিশুকন্যা নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক তার দাদা। অভিযোগ, চুরি আটকাতে মুরগির খাঁচায় বিদ্যুতের তার জড়িয়ে দেন ফার্মের মালিক ইন্দ্রজিত্। ঘটনায় শোকের ছায়া সরকার পরিবারে।