৫০০ কোটিতে কী হবে! মোদীকে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর, কেরালার বিপর্যয়ে ত্রাণ-দ্বন্দ্ব চরমে


দুর্যোগ ক্রমেই বিপর্যয়ের রূপ নিয়েছে কেরালায়। প্রকৃতি যেভাবে ফুঁসে উঠেছে, তাতে ক্ষতির পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন মনে করেন কেন্দ্রের দেওয়া ৫০০ কোটি টাকায় কোনওভাবেই সেই খামতি পূরণ সম্ভব নয়।

তবে তা জানিয়েই শুধু ক্ষান্ত নন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই বিমানে কেরালার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করার পর বিজয়ন ফের চিঠি লেখেন প্রধানমন্রীুঁ নরেন্দ্র মোদীকে। চিঠিতে তিনি জানান, ওই ৫০০ কোটি টাকায় কেরলের খামতি পূরণ সম্ভব নয়। কেরালা যখন ভাসছে এবং রাজ্যে আরও দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে, সেখানে কেন্দ্র যদি অন্তত দু-হাজার কোটি টাকা না দেয়, কেরালা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।

মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি চিঠি দিয়ে আবেদন করেন, কেন্দ্র অন্তত ২০০০ কোটি টাকা সাহায্য করুক। প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ওই টাকা দেওয়া হোক। ৫০০ কোটি টাকা সাহায্যে কিছুই হবে না। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর এদিন সরকারিভাবে জানায় কেরলে এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ ১৯,৫০০ কোটি টাকা। বৃষ্টি চললেল ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

কেন্দ্রীয় সরকারে পক্ষ থেকে আগেই বন্যাবিধ্বস্ত কেরলের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। শনিবার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করার পর সেই সাহায্যের পরিমাণ আরো ৫০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ কেন্দ্র মোট ৬০০ কোটি টাকা দেবে বলে জানানো হয়।

কিন্তু ওই টাকা বন্যাবিধ্বস্ত কেরলে উন্নয়নে হোমেও আসবে না যজ্ঞেও আসবে না। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। তিনিও বলেন- ওই টাকায় কী হবে। তাঁর কথায়, কেরলকে পুনরায় গড়ে তুলতে এবং রাজ্যের স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে কেন্দ্রের আরও একটু সদয় হওয়া উচিত। কেন্দ্রের উচিত সাহায্যের পরিমাণ আরও বাড়ানো।

এরই দাবি তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও। তিনি সরাসরি অনুদান নিয়ে মন্তব্য না করে বলেন, অবিলম্বে কেরলে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা উচিত কেন্দ্রের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরিদর্শনের পর অন্তত জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করুন। উল্লেখ্য, কেরলের বন্যা পরিস্থতির ভয়াবহতা বিচার করে প্রতিবেশী প্রায় সমস্ত রাজ্যই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ উজাড় করেই কেরলের পাশখে দাঁড়িয়েছে। পাশে দাঁড়িয়েছে, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, বিহার, পঞ্জাবও। বিদেশ থেকেও সাহায্য আসছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীও কমিটি গঠন করেছে কেরলকে সাহায্যে।