শিশুদের মুখে মধু তুলে দিচ্ছেন? জানেন কি আপনার অজান্তে কতো বড়ো ক্ষতি হচ্ছে


প্রাচীনকাল থেকে মধু নানান রোগ সারাতে মহাঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। আজও অনেক মানুষের কাছে মধুর স্থান অনস্বীকার্য। আঘাতপ্রাপ্ত যে কোনও ব্যথায় মধুর ব্যবহার অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও এখনও প্রবলভাবে প্রচলিত আছে, শিশু জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গেই নবজাতকের মুখে মধু দেওয়া। নবজাতকের মুখে মধু দেওয়ার রেওয়াজ কেন প্রচলিত হল? প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের মনে এই বিশ্বাস পোক্তভাবে আঁটকে আছে যে একজন নবজাতক জন্মানোর পরে মুখে মধু দিলে নাকি শিশু ভবিষ্যতে মিষ্টিভাষী হয়। শুধু তাই নয়, মানুষের মনে আরো একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে শিশুকাল থেকে শিশুকে মধু খাওয়ালে পরিণত বয়সে সে সুঠাম দেহের অধিকারীও হবে।

এমন বিশ্বাসের কোনও বিজ্ঞানসম্মত যৌক্তিকতা পাওয়া যায় না। বরং হিতে বিপরীতই হয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। নবজাতকের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যদি তার মুখে মখে মধু দেওয়া হয়, তাহলে শিশুর পেটে 'ক্লাস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম' নামে একটি উপাদান থাকে, এই উপাদানটি শিশুর শরীরে ধারণ করার ক্ষমতা থাকেনা। যার ফলে নবজাতকের পেটে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অত্যন্ত কম। দুই বছর বয়সের পরে শিশুদের অল্প পরিমানে মধু দেওয়া যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। তার আগে একদমই নয়। কিন্তু এই মধুই আবার পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে সর্দি কাশির মতো রোগ সারাতে বিশেষ সহায়ক। আবার আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে শরীরের নানান রোগ সারাতে মধুর ব্যবহার করা হয়। যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, মুখের ক্ষত, অনি্দ্রা প্রভৃতি। তবে মধুমেহ রোগীরা মধু থেকে দূরে থাকুন সবসময়।