‘পালিয়ে বিয়ে’ প্রেমিকের সঙ্গে! নাবালিকার পরিণতি শুনলে গা শিউরে উঠবে


আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে৷ খড়গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত কয়তা গ্রামের ওই নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে গিয়ে গ্রামের পাশে একটি পাম্প হাউসে আটকে রাখা হয়েছিল৷ রাজু মান্ডি নামে এক ব্যক্তি নাবালিকাকে সেখানে তিনদিন আটকে রাখে। ৬ বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ ৯ অগস্ট সকালে গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তার পাশে অচৈতন্য অবস্থায় ওই নাবালিকাকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিয়ে উদ্ধার করে৷ অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে৷

খড়গপুরের ২ নম্বর ব্লকের কয়তা গ্রামের এক আদিবাসী নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৬ অগস্ট বাড়ি থেকে নিয়ে যায় ওই গ্রামের বাসিন্দা রাজু মান্ডি৷ রাজুর সঙ্গে ওই নাবালিকার পুরনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয়রা জানান৷ ৬ তারিখ থেকে মেয়েকে নিখোঁজ দেখে আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করছিলেন ওই নাবালিকার মা৷ কোথাও কেউ তাঁর সন্ধান পাচ্ছিলেন না৷ এর পরে ৮ অগস্ট খড়গপুর গ্রামীণ থানাতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তিনি৷ পুলিশও খোঁজ শুরু করে৷ এরই মাঝে ৯ অগস্ট গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার পাশে ওই নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা৷ গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে৷ সেখানে পুলিশের কাছে ওই নাবালিকা সমস্ত কিছু খুলে বলে৷

ওই নাবালিকা পুলিশকে জানায়, পুরনো প্রেমের সম্পর্ক থেকেই রাজু মান্ডি তাঁকে বিয়ে করবে বলে ডেকেছিল৷ সেই মতো ৬ অগস্ট রাজুর সঙ্গে বেরিয়ে পড়েছিল বাড়ি থেকে৷ রাজু সন্ধার সময়‌ে গ্রামের পাশে একটি পাম্প হাউসে তাঁকে নিয়ে ওঠে৷ সেখানে রাতে তাঁকে ধর্ষণ করে৷ পরে আরও ৫ বন্ধু মিলে তাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ সেদিন থেকেই তিন দিন ধরে ওই পাম্প হাউসে তাকে আটকে রেখে গণধর্ষণ চালায় ৬ জন আদিবাসী যুবক৷ পরে ওই নাবালিকার পরিস্থিতি খারাপ মনে হওয়াতে রাস্তার পাশে ফেলে পালায় তারা৷ ওই নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাজু মান্ডি-সহ চর যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ বাকি দু'জন অভিযুক্ত ফেরার৷