ঋণখেলাপি ধনকুবেরদের ফেরার হওয়া আটকাতে বিলে সম্মতি রাষ্ট্রপতির


নীরব মোদী ও বিজয় মাল্য।

কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালানো নীরব মোদী, বিজয় মাল্যদের মতো ধনকুবের ঋণখেলাপিদের আটকাতে ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডারস বিলে সম্মতি দিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
বিজয় মাল্য থেকে নীরব মোদী, ভারতে জালিয়াতির ঘটনায় অভিযুক্তরা বারবারই গা ঢাকা দিচ্ছেন বিদেশে। কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের পরেও আদালতের সমন অগ্রাহ্য করে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছেন। অথচ তাঁদের ঋণ দিয়ে ভুগছে দেশের ব্যাঙ্কগুলি। এই পরিস্থিতি আটকানোর যুক্তি দেখিয়েই গত ১৯  জুলাই লোকসভায় একটি নতুন বিল পেশ করে সরকার। যার নাম ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডারস বিল, ২০১৮।

প্রস্তাবিত সেই বিলে বলা হয়েছিল, ১০০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক অপরাধ বা প্রতারণার মামলায় অভিযুক্তরা বিদেশে পালালে তাঁদের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।যাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, যিনি বিদেশে পালিয়েছেন এবং সমন পাঠানো সত্ত্বেও দেশে ফিরছেন না, এমন লোকেদেরই ফেরার তকমা দেওয়া হবে। ইডি-কে আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার দেওয়া হবে। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি নিলামে তুলে প্রতারিতদের অর্থ ফেরতের ব্যবস্থাও থাকবে।  নতুন এই বিলে রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দেওয়ায় এ বার থেকে সেই সব ব্যক্তিকে'ফেরার' তকমা দেওয়া এবং ঋণ অনাদায়ে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পূর্ণ স্বাধীনতা পাওয়া সম্ভব হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

সম্প্রতি রাজ্যসভায় পীযূষ গয়াল জানান, ঋণখেলাপিদের দেশ ছেড়ে পালানো আটকাতে এই বিল বেশ কার্যকরী ভূমিকা নেবে। এ ধরনের ফেরারদের বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি কী করা হবে সেটা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডারস বিল ছাড়াও আরও তিনটি আইনে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি— দ্য নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৮, দ্য স্টেট ব্যাঙ্কস (রিপিল অ্যান্ড অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৮ এবং দ্য স্পেসিফিক রিলিফ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৮।