ইউটিউব দেখে বোমা বানানো শিখত সুমিত, প্রশান্তরা


বারাকপুর: ছোটবেলার খুব চেনা একটি রচনা ছিল 'বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ'৷ বর্তমান প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট মানুষের জীবনকে ক্রমশ দ্রুততর করে তুলেছে৷ আর সেই ইন্টারনেটের একটি বিশেষ অঙ্গ হল ইউটিউব৷ যার মাধ্যমে আপনার হাতের মুঠোয় উঠে আসতে পারে অজানা অনেক তথ্যই৷ তবে এমন ভয়াবহ ঘটনাও যে ঘটে থাকতে পারে তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেনি কেউ৷
 
প্রসঙ্গত, ইউটিউব দেখে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ নিত গারুলিয়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা৷ গারুলিয়ার লেনিননগর স্কুল মাঠের ভ্যাটে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ এবার তাদের জেরা করেই উঠে এল এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত ১ অগস্ট উত্তর ২৪ পরগনার গারুলিয়া লেনিননগর স্কুল মাঠে বোমা ফেটে দুই পুরসভার কর্মী জখম হয়৷ সেই ঘটনায় তিন দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করেছিল নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। ধৃত তিন দুষ্কৃতীর নাম রণ সরকার, প্রশান্ত সরকার এবং সুমিত দাস। তিনজনই লেনিননগর এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

নোয়াপাড়া পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তিন দুষ্কৃতী গারুলিয়া লেনিননগরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংলগ্ন ভ্যাটে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল৷ এই তথ্য তারাই পুলিশের কাছে স্বীকার করে। শুধু তাই নয়, তিন দুষ্কৃতীকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের হাতে উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের জানায়, তারা সোশ্যাল মিডিয়া অর্থাৎ ইউটিউব দেখে বোমা বানানো শিখেছিল। সেই শক্তিশালী বোমাই তারা লুকিয়ে রেখেছিল ভ্যাটের মধ্যে। আর তারপরই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকে৷

সেই সময় পুলিশ তদন্তে নেমে খোঁজখবর নিয়ে ওই তিন দুষ্কৃতীর সন্ধান পায়। তিনজনই গারুলিয়া লেনিননগর এলাকার বাসিন্দা বলে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে। বর্তমানে তাদের জেরা করছে পুলিশ৷ পাশাপাশি, আরও কোনও তথ্য পাওয়া যায় কিনা সেদিকেও নজর দিয়েছে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ৷ এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে নাকি এই চক্র এখনও সক্রিয় ভাবে কাজ করে চলেছে সব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ এই প্রসঙ্গে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাঁদের পেশাগত জীবনে এমন তথ্য সত্যিই চাঞ্চল্যকর৷