বাইকে আত্মীয়ের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে কিশোরীকে 'অপহরণ' করে গণধর্ষণ ৪ বন্ধুর


গণধর্ষণের পর কিশোরীকে ফেলে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।

নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মদ খাইয়ে গণধর্ষণ করা হয় ওই ছাত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ১২ পরগনার টাকিতে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সবুজ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিস।

নির্যাতিতা কিশোরী জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় সে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল। সেইসময় রাস্তায় তার সঙ্গে দেখা হয় এক বন্ধুর। কিশোরীকে সে বলে, বাইকে করে আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেবে। বন্ধুর কথা মতো বাইকে চড়ে বসে ওই কিশোরী। কিন্তু, আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার বদলে ওই কিশোরীকে বাইকে চাপিয়ে সে হাজির হয় ইছেমতি নদীর ধারে শ্মশান ঘাট এলাকায়।

ওই কিশোরীর অভিযোগ, এরপরই শ্মশান ঘাটে এসে জড় হয় আরও তিন বন্ধু। সে তাদের বার বারই বলে তাকে আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা। কিন্তু তার কথায় কোনও কর্ণপাত করেনি অভিযুক্তরা। এরপর কিশোরীর সামনে শ্মশান ঘাটে বসেই চার বন্ধু মিলে মদ্যপান করে। এমনকি তাকেও জোর করে মদ খাওয়ায় অভিযুক্তরা।

ওই কিশোরী জানিয়েছে, এরপরই সে অজ্ঞান হয়ে যায়। অভিযোগ, তারপরই তাকে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। গণধর্ষণের পর তাকে ফেলে রেখে চম্পট দেয় তারা। পরে অচৈতন্য অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে টাকি হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

এই ঘটনায় হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে, সবুজ মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, সে-ই নাটের গুরু।