অভিনব আবিষ্কার, এবার ভূমিকম্প থেকে জীবন বাঁচাবে ‘ক্যাপসুল’


ভূমিকম্পের রোষ থেকে বহুতলের বাসিন্দাদের বাঁচাতে নয়া আবিষ্কার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার টেকনিশিয়ান অভিজিৎ চন্দের । তাঁর তৈরি ব্ল্যাক বক্স ক্যাপসুল এখন স্বীকৃতির অপেক্ষায়।

দূর্গাপুর: ভূমিকম্প। নামেই আতঙ্ক। এই বুঝি ভেঙে পড়ল ঘরবাড়ি। ধ্বংসস্তূপের নীচে শেষ হয়ে গেল জীবন। অপরিকল্পিত নগরায়নে আরও বাড়ছে বিপদ। বহুতলের পায়রার খোপের দিনযাপনে অশনি সঙ্কেত। ভূমিকম্পের রোষ থেকে বহুতলের বাসিন্দাদের বাঁচাতে নয়া আবিষ্কার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার টেকনিশিয়ান অভিজিৎ চন্দের । তাঁর তৈরি ব্ল্যাক বক্স ক্যাপসুল এখন স্বীকৃতির অপেক্ষায়।

২৫ এপ্রিল, ২০১৫

পুরভোটের দিন ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল কলকাতা-সহ গোটা বাংলা। এরপর ২০১৬ সালের ২৪শে আগাস্ট । তারপর আরও কয়েকবার। ভূমিকম্পের আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহর ও জেলায়। শহর যত বেড়েছে, সংখ্যায় বেড়েছে বহুতল। বহুতলের পায়রার খোপের জীবনে এখন অভ্যস্থ নগরজীবন। অনেক ক্ষেত্রে বহুতল তৈরিতে থেকে যাচ্ছে গলদ।

এবার আর ভয় নয়। ভূমিকম্প থেকে রেহাই পেতে শুধু খরচ করতে হবে পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা। বাড়ি ভেঙে পড়লেও, আপনি বেঁচে যাবেন। গ্যারান্টি দিচ্ছেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার টেকনিশিয়ান অভিজিৎ চন্দ। তাঁর তৈরি স্টিলের কিংবা কার্বন ফাইবাবের ব্ল্যাক বক্স ক্যাপসুলে ঢুকেই প্রাণ বাঁচবে বহুতলের বাসিন্দাদের ।

অভিজিতের তৈরি অ্যানিমেশনে থাকছে তাঁর তৈরি ক্যাপসুলের ছবি। ক্যাপসুলের মূল ইউনিট থাকবে ছাদে। প্রতি ফ্ল্যাটের ভিতর থাকবে সাত ফুট লম্বা ও পাঁচ ফুট চওড়া ব্যাসের ক্যাপসুল। ছাদের ইউনিটের সঙ্গে সেগুলি আয়রন কেবল দিয়ে বাঁধা। ভূমিকম্পে বাড়ি ভেঙে পড়লে ছাদের ইউনিটের সঙ্গে ঝুলে থাকবে ক্যাপসুলগুলি । একটি ক্যাপসুলে পাঁচজন সাতদিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন।

--ভূমিকম্প হলেই বেজে উঠবে ক্যাপসুলের ভিতর থাকা অ্যালার্ম
---ক্যাপসুলের মধ্যে অক্সিজেন ঢোকার ব্যবস্থা থাকছে
---ক্যাপসুলে থাকবে শুকনো খাবার, জল, মোবাইল ও হুইসিল
-- ক্যাপসুলের দাম ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা
--আবাসনের ছাদে ইউনিট তৈরি করতে খরচ হবে ১.৫-২ লক্ষ টাকা

অভিজিতের দাবি, ভূমিকম্পে ছাদের ক্ষতি হলেও, ক্ষতি হবে না ক্যাপসুলের। প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে ক্যাপসূলের প্রযুক্তিগত দিক পরীক্ষা না করে কিছু বলা উচিত নয়, বলছেন বিজ্ঞানীরা। ব্ল্যাক বক্স ক্যাপসূল নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও।

প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। বিভিন্ন নামী নির্মাণ সংস্থায় নিজের আবিষ্কারের কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তবে সাড়া মেলেনি এখনও। জোটেনি সরকারি স্বীকৃতিও। তবু হাল ছাড়তে নারাজ অভিজিৎ চন্দ।