তিনজনকে মহাকাশে পাঠাচ্ছে ভারত, জানিয়ে দিল ISRO


নয়াদিল্লি: 'গগনায়ন', মহাকাশে ভারতের মানব অভিযানের কথা ১৫ অগাস্ট লালকেল্লার মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ঘোষণায় আগেই শিলমোহর দিয়েছে ইসরো। এবার সেই অভিযান সংক্রান্ত আরও তথ্য দিলেন ইসরোর চেয়ারপার্সন কে শিবান।

জানা গিয়েছে, সাতদিনের ওই অভিযানে তিনজনকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের একটি কক্ষপথে অবস্থান করবে সেই স্পেসক্রাফট।

এক সাংবাদিক বৈঠকে জিতেন্দ্র সিং (মিনিস্টার অফ স্টেট, অ্যাটমিক এনার্জি অ্যান্ড স্পেস) জানান, ত্রি স্তরীয় হেভি লিফট লঞ্চ ভেইকল GSLV Mk III ব্যবহার করা লঞ্চ করা হবে এই গগনায়ন।

তবে আসল অভিযানের আগে মানুষ ছাড়াই দু'বার এই গগনায়ন পাঠানো হবে মহাকাশে। ২০২২-এর মধ্যে পুরো প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী ৩০ মাসের মধ্যে পাঠানো হবে প্রথম মানব-বিহীন স্পেসক্রাফট। আর আসল অভিযানে তিনজনকে পাঠানো হবে। এই প্রোগ্রামে ১০,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, ২০২২ সালে কোনও ভারতীয় পুরুষ বা মহিলা 'গগনযান'-এ মহাকাশে পাড়ি দেবেন। ভারতের জাতীয় পতাকা মহাকাশে উড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চাইছে। তবে, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করলেই মহাকাশযানগুলি বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণে প্রবল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই তাপকে সহ্য করার মতো প্রযুক্তি তৈরিই মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

২০০৭ সালেই ভারত 'রি-এন্ট্রি' প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষাটি করেছিল। ৫৫০ কেজি ওজনের একটি উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠিয়ে ১২ দিন পর আবার তাকে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। এই বাধা টপকানোর পরই দ্রুত এগিয়েছে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কাজ।