42 ঘন্টা পরেও আগুন জ্বলছে বাগরি মার্কেটে


কলকাতা: রবিবার ভোরবেলা ভয়াবহ আগুন লেগে গিয়েছিল ক্যানিং স্ট্রিটের বাগরি মার্কেটে (fire in Bagri market)। দমকল বাহিনীর বহু চেষ্টা সত্ত্বেও যে আগুনকে কোনওভাবে সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হয়নি। ছ'টি বিভিন্নদিক থেকে ওই ভবনটির ওপর জল ছিটিয়েছিল দমকল বাহিনী। তাদের সাহায্য করেছেন ওই অঞ্চলে ব্যবসা করা বেশ কয়েকজন দোকানদার, যাঁদের দোকানটিও আগুনের করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে যেতে পারেনি। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যদিও দমকলের বাহিনী এখনও আগুন নেভানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নেভানোর জন্য আরও খানিকটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে দমকল বাহিনী।
এবার আগুন ভবানীপুরে, দমকলের তিন ইঞ্জিনের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

"প্রায় গোটা ভবনটাই আগুনের লেলিহান শিখাতে পরিণত হয়েছে। যেদিকেই তাকাচ্ছি, সেদিকেই আগুন। এর কারণ হল, ওই মার্কেটের ভিতরে থাকা দোকানগুলিতে মজুত ছিল ভর্তি দাহ্য বস্তু। যার ফলে আগুনটা ছড়িয়ে যায়। এছাড়া, আগুন লাগার সময় বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ ছিল। তার ফলে আমাদের পৌঁছতেও অনেক সময় লেগে যায়। তবে, অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমরা আগুন নেভানোর জন্য সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি", দমকলের এক পদস্থ কর্তা বলেন সংবাদসংস্থা পিটিআইকে।

মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় আগুনে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া মার্কেটটি পরিদর্শনে এসেছিলেন। তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু, সম্পূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে কত সময় লাগবে বা লাগতে পারে তা নিয়ে তিনি কিছুই বলেননি।

"আগুন নেভানোর জন্য সকলে মিলে চেষ্টা করে চলেছেন", বলেন তিনি।

সোমবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই আগুন লাগার ঘটনাটির কারণ খোঁজার জন্য পুলিশ ও দমকল বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ডেকে পাঠানো হয়েছে বাগরি মার্কেটের মালিকদেরও, জানান রাজ্য সরকারের এক মন্ত্রী।

অন্যদিকে, বাগরি মার্কেটে আগুন লেগে যাওয়া নিয়ে দুই বিরোধী দল বিজেপি ও কংগ্রেস শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে রীতিমতো তুলোধনা করা আরম্ভ করল। ঘিঞ্জি এই বহুতল মার্কেটটিতে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে তরজা ক্রমশ আরও তুঙ্গে উঠে গেল এবার। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন স্বাধীনভাবে তদন্ত করে দেখা উচিত এই ঘটনার নেপথ্যে আসলে ঠিক কোন ষড়যন্ত্র বা সাবোতাজ লুকিয়ে আছে। ক্যানিং স্ট্রিটের এই মার্কেট 1000-এর ওপর ব্যবসায়ীর ব্যবসার মূল ক্ষেত্র। দিলীপ ঘোষ বলেন, "একটা স্বচ্ছ এবং স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে দেখা উচিত ঠিক কী কারণে এই ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটল। এর পিছনে কোনও সাবোতাজ বা ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে কি না, দেখা উচিত সেটাও"।