ভোপালের প্রথম মহিলা অটো-রিক্সাচালকের ফার্স্ট প্যাসেঞ্জার মুখ্যমন্ত্রী


ভোপাল: মহিলারা যে কোনও অংশে কম না তা বারবার প্রমাণ হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে৷ আর ভোপালের একটি ছবি সেই বিষয়টাকেই ফের একবার তুলে ধরল৷ তালাত জাহান৷ ইনিই ভোপালের প্রথম মহিলা অটো-রিক্সাচালক৷ আর তাঁর এই অটো-রিক্সার প্রথম প্যাসেঞ্জারই হলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান৷

তালাত জানান, গত দুমাস ধরে তিনি অটো-রিক্সা চালাচ্ছেন৷ পছন্দ থেকেই এই পেশাকে তিনি বেছে নিয়েছেন৷ অর্থাভাবে বিকল্প পথের সন্ধান না পেয়ে যেখানে অনেকে শর্টকার্ট ধরে বা বিপথে গমন করে সেখানে তালাত জাহান এই পথকে বেছে নিয়েছেন ইচ্ছেকে বাস্তবায়িত করতে৷

এর আগে, গত অগস্টেই খবরের শিরোনামে এসেছিলেন কাশ্মীরি যুবতী মেহভিস মেহরাজ জারগার৷ একার চেষ্টায় কাশ্মীরে আস্ত একটা ক্যাফে খুলে ফেলেন মেহভিস৷ উপত্যকায় এই প্রথম মহিলা পরিচালিত ক্যাফে যা নির্ভেজাল আড্ডা আর এক কাপ শান্তির কফির আহ্বান জানায় উপত্যকাবাসীকে।

ক্যানসারে মৃত্যু হয় বাবার৷ মাত্র ৭ বছর বয়সে বাবাকে হারান মেহভিস৷ ওকালতি নিয়ে পাশ করলেও উত্তপ্ত উপত্যকায় ক্যাফে তৈরির স্বপ্ন দেখতেন তিনি৷ স্বপ্ন সত্যি হয় গত বছরেই৷ শ্রীনগরের বেমিনা এলাকার সরকারি কলেজের ঠিক বিপরীতে মেহভিসের ক্যাফে নাম- মেনু ক্যাফে৷ মা ও দুই বোনের সমর্থন পেয়ে ঋণ নিয়ে এই ক্যাফে তৈরি করেন মেহভিস৷ মেহভিসের মতন তাঁর বাকি ২ বোনও উচ্চ শিক্ষিত৷ বাবার মৃত্যুর পর অনেক প্রতিকূলতা কাটিয়ে মেয়েদের শিক্ষিত করেন মেহভিসের মা৷

মেহভিসে জানিয়েছিলেন, নিজেদের অবস্থা দেখেই কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ এই ক্যাফেই গোটা পরিবারের একমাত্র আয়ের সংস্থান৷ বলা যায়, অজানা স্বপ্ন পূরণের সিঁড়ি৷ মেহভিস আপাতত কাশ্মীরের ইউথ আইকন৷ তাঁকে দেখেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছেন বিভিন্ন বয়সের মহিলা৷ কার্ফিউ, সেনার বুট, সন্ত্রাস হামলা যে রাজ্যেবাসীর জীবনের অঙ্গ, সেখানে মেহভিসের মেনু ক্যাফে সেই আশার বার্তা দেয়, যা কোথাও অবদমিত৷ কাশ্মীরে থেকেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে ক্যাফে সামলাচ্ছেন মেহভিস৷ যা তরুণ প্রজন্মকে কাশ্মীরে সন্ত্রাস না ছড়ানোর বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন মেহভিসের মা৷

মেহভিসের পথ ধরেই, মহিলারা নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করছেন বুটিক, পার্লারের মত নানা স্টার্টআপ৷ তথ্য-প্রযুক্তি খাতেও এগিয়ে চলেছেন মহিলারা৷ পড়াশুনা করে কাশ্মীরের বাইরে জীবিকার ধারা এভাবেই বদলাবে বলে মনে করেন মেহভিসও৷