পেমেন্টের জন্যে রোগীকে আর চাপ দিতে পারবে না হাসপাতাল


নয়াদিল্লি: এমন দিনই আসছে যাতে-কোরনও রকম পেমেন্ট জনিত সমস্যার জন্য রোগীর আত্মীয় স্বজনের কাছে থেকে তার বডি আটকাতে পারবেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ কারণ স্বাস্থ্যমন্ত্রক রোগীর অধিকারের খসড়া বের করেছে তাতে বলা হচ্ছে তেমন কিছু হাসপাতাল করলে শীঘ্রই তা অপরাধান বলে গণ্য হবে ৷ সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে এমনটাই জানাচ্ছে৷

ওই পেসেন্ট চার্টার অনুসারে যদি পেমেন্ট সংক্রান্ত কোনও বিবাদ থাকে সেক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই মৃতদেহ আটকে রাখতে পারবে না৷ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব সুধীরকুমারের ইস্যু করা নোটিস অনুসারে মন্ত্রক পরিকল্পনা করেছে এই চার্টার চালু করবে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের মাধ্যমে ৷ এই চার্টার খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে জনমত নেওয়ার জন্য৷

প্রতিটি হাসপাতাল এবং ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিস্টমেন্ট-এর দায়িত্ব ইন্টারনাল রেড্রেসাল মেকানিজম তৈরি করা যাতে পাশাপাশি রোগীদের অধিকার চার্টার্ড বিষয়টা এবং বর্তমান আইনের দিকটা দেখে এই বিষয়ে সব রকম সহযোগিতা করতে পারে৷

ওই খসড়া বলছে প্রতিটি রোগীর বাড়ির লোকেদের অধিকার থাকবে ভর্তির পর থেকে ছাড়া অবধি রোগী সম্পর্কিত যা যা টেস্ট এবং ইনভেস্টিগেসন ইত্যাদি হয়েছে সেই সব নথিপত্র দেখার৷ কোনও রোগীর বাড়ির লোক কোনও বিষয়ে দ্বিতীয় অভিমত নিতে চাইলে সেই অধিকার তাঁর বাড়ির লোকেদের দিতে হবে৷

রোগীর ব্যক্তিগত বিষয় বলে তাঁর রোগ সম্পর্কে ডাক্তার যেন গোপনীয়তা বজায় রাখে৷ পেমেন্টের সময় একেবারে আইটেম অনুসারে বিস্তারিত বিলের তথ্য চাইতে পারবে৷ তাছাড়া হাসপাতাল এবং ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিস্টমেন্ট-এর দায়িত্ব কার কত খরচ তা যেন ইংরেজি এবং স্থানীয় ভাষা দেওয়া থাকে, এজন্য যেন বুকলেট দেওয়া হয় ৷ এই চার্টার অনুসারে প্রতি রোগী যেন চিকিৎসা পায় তাদের রোগের অবস্থা যাই হোক না কেন ( এমনকী এইআইভি আক্রান্ত হলেও) , তাদের ধর্ম, জাতি লিঙ্গ যাই হোক না কেন৷