ঘুমন্ত স্ত্রীর পাশেই ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ


প্রচণ্ড ক্লান্তিতে অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন মা। আর তারই সুযোগ নিয়ে ঘরে ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বাবা। এতটাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন মা যে মেয়ের কান্নাকাটি তাঁর কানেই পৌঁছয়নি।

ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডার ফেজ-থ্রি থানা এলাকায় শুক্রবার রাতে।

পরের দিন মেয়ের রক্তমাখা জামা দেখে সন্দেহ হয় মায়ের। প্রশ্ন করে জানতে পারেন ঘটনা। মেয়ে মাকে জানায়, কাউকে এই সব কথা বললে বাবা তাকে আর তার দুই ভাইকে খুন করে দেবে বলেছে। তার পরেই থানায় যান মা। মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তবে মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশ অভিযুক্তের নামধাম গোপন রেখেছে।

পুলিশ জানাচ্ছে, ধর্ষিতার মা ও বাবা কাজ করেন একটি পোশাকের কারখানায়। লিখিত অভিযোগে ধর্ষিতার মা পুলিশকে জানিয়েছেন, ''সপ্তাহে মাত্র ৪ দিন কারখানায় কাজ করতে যেত আমার স্বামী। রোজ রাতে বাড়ি ফেরে মদ খেয়ে। শুক্রবার রাতেও মদ খেয়ে টলতে টলতে বাড়ি ফিরেছিল। শোওয়ার জন্য স্বামীকে বিছানাটা ছেড়ে দিয়ে আমি মেয়ে আর দুই ছেলেকে নিয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ি ঘরের মাটিতে। ভোরে উঠে কাজে যেতে হবে বলে ঘুমিয়েও পড়ি। পরে মাটি থেকে মেয়ে আর দুই ছেলেকে বিছানায় তুলে নিয়ে যায় স্বামী। ওখানেই মেয়ের ওপর অত্যাচার করেছে স্বামী।''

পুলিশ জানিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ নম্বর ধারায়। সঙ্গে রয়েছে 'পকসো' আইনের ৩ এবং ৪ নম্বর ধারাও।

ধর্ষিতার মা কেন একই ঘরে শুয়ে তাঁর মেয়ের কান্নাকাটি শুনতে পাননি, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধর্ষিতার মা পুলিশকে বলেছেন, ''আমি প্রতি দিনই কারখানা থেকে বাড়িতে ফিরি রাত পৌনে ন'টা নাগাদ। শুক্রবারও ফিরেছিলাম ওই সময়। কিন্তু এতটাই ক্লান্ত ছিলাম যে, শোওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অঘোরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।''