ও বিজেপি করে, গাঁজার কেস দিয়ে অ্যারেস্ট করিয়ে দে: অনুব্রত


বোলপুর: বিজেপি কর্মীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাও আবার গাঁজার কেস দিয়ে।

এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। রবিবার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও-তে ধরা পড়েছে সেই ছবি। দলের নেতা, কর্মী, বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ওই ধরনের চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিতে শোনা গিয়েছে কেষ্টর মুখে।

রবিবার বোলপুরে অবস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বোইঠকে বসেছিলেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিং, আউসগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে এদিন সভার শুরু থেকেই বেশ চটে ছিলেন কেষ্ট। যার প্রভাব পড়ে কর্মীসভায়।

পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রামে দলের পর্যবেক্ষণের জন্য পাঁচ জনের একটি কমিটি তৈরি করেছিলেন অনুব্রত। এক মাস আগে সেই কমিটি থেকে একজনকে বাদ দেওয়া হয় উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় নামের এক নেতাকে। যিনি এখন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বলেই পরচিত। এদিন বৈঠকে আউসগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারকে ইঙ্গিত করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "ফাইভ ম্যান কমিটি থেকে যে ছেলেটাকে বাদ দিলাম না, ওকে এরেস্ট করিয়ে দে।"
 
এরপরেই এক মহিলাকে নিশানা করেন কেষ্ট। তিনি বলেন, "আর মোটা করে মেয়েটা কি নাম। ওকে এরেস্ট করিয়ে দে। ও বিজেপি করে, গাঁজা কেসে ধরিয়ে দে।" একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "কন্ট্রোল করতে পারবি কি না বল। নাহলে এরেস্ট করিয়ে দেব। কন্ট্রোল করতে পারবি? হা কি না বল।"

এই অ্যারেস্ট করিয়ে দেওয়ার কথা যে নেহাতই কথার কথা নয় তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বিধায়ক অভেদানন্দের সঙ্গে বার্তালাপ শেষ হতেই জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিনহার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আউশগ্রামের আইসি-কে ফোনে ধরো। বর্ধমানের এসপি কে ফোন করো। ধরিয়ে দি।"

বিজেপির জেলা সভাপতি রাম কৃষ্ণ রায় বলেন, "চারিদিকে কি অরাজকতা চলছে, পুলিশ কে আজ অপব্যবহার করে মিথ্যা কেসে আমাদের ছেলেদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগামীদিনে মানুষ এর জবাব দেবে।"