১১৭ মিনিটে ১১৫৮ কি.মি পথ পাড়ি দিল হৃদপিন্ড, বাঁচল জীবন,এক অসামান্য কাহিনি

ঘটনা গত ১০ সেপ্টম্বরের। যেদিন দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা একটি ট্রাক পিষে দিয়ে চলে যায় মিহির প্যটেলকে। তড়িঘড়ি বছর আঠেরোর এই যুবককে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে । চিকিৎকরা জানান মিহিরের ব্রেনে ক্লট ধরা পড়েছে। মুহূর্তে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে সুরাটের প্যটেল পরিবারে। এর দুদিন বাদেই মিহির মারা যায়।

বাড়ির সন্তান হারানোর শোকে যখন কাতর গোটা পরিবার, তখন পরিবারের সদস্যরা সকলে মিলে এক সিদ্ধান্তের পথে এগিয়ে যান। ঠিক করা হয় , মিহিরকে তাঁরা বাঁচিয়ে রাখবেন অন্য কারোর শরীরে। এমন ভাবনা থেকেই মিহিরের হৃদযন্ত্র অন্য একজনের দেহে প্রতিস্থাপিত করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এদিকে, ততক্ষণে নয়ডার গোবিন্দ মেহরার হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন গোবিন্দ। তৎক্ষণাৎ, গুজরাটের সুরাটের মিহিরের হৃদযন্ত্র নয়ডার গোবিন্দের কাছা পাঠোনর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বাধ সাধে সুরাট থেকে নয়ডার দূরত্ব ।

শেষমেশ ব্যবস্থা করা হয় গ্রিন চ্যানেলের। যার দ্বারা ১১৭ মিনিটে ১১৫৮ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে মিহিরের হৃদযন্ত্র পৌঁছে যায় নয়ডার গোবিন্দ পর্যন্ত। শুধু মিহিরের হৃদযন্ত্র নয়, প্রয়াত ১৮ বছরের ওই যুবকের কিডনিও প্রতিস্থাপিত হয়েছে ।সুরাটের সঞ্জয় কানানি ও আমেদাবাদের  ১২ বছরের কিশোর আদনান আনসারির দেহে প্রতিস্থাপিত হয়েছে মিহিরের কিডনি। আর এভাবেই বিভিন্ন জনের মধ্যে তাঁদের সন্তান মিহির প্যটেল বেঁচে রয়েছে বলে মনে করেন ভারত ও কোকিলা প্যটেল। সন্তানকে হারিয়েও কঠিন সময়ে চোখের জলে মুছে প্যটেল পরিবারের এমন সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যাঞ্জক।