সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল দু’জনের।

বাঁকুড়া: ডেঙ্গুতে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় যখন আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরে, তখন আবার কলকাতার হাসপাতালে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল দু'জনের। একজন শিশু আর একজন বৃদ্ধ। মৃতদের বাড়ি বাঁকুড়ায়। বুধবার সকালে পার্ক সার্কাসের একটি হাসপাতালে মারা যায় বছর সাতেকের এক শিশুর। ফুসফুসে সংক্রমণ ও সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর ওই নার্সিংহোমে ভরতি হয়েছিল সে। আগামী রবিবার তার জন্মদিন ছিল।
 
মৃতার নাম শ্রীতমা রায়। বাড়ি বাঁকুড়ার কোতলপুরে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে জ্বরে ভুগছিল শ্রীতমা। চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু জ্বর কিছুতেই সারছিল না। উলটে শ্রীতমার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। শেষপর্যন্ত, ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা। ভরতি করা হয় পার্ক সার্কাসের একটি নার্সিংহোমে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শ্রীতমার ফুসফুসে প্রবল সংক্রমণ হয়েছিল। সর্দি-কাশির উপসর্গও ছিল। ভেন্টিলেশন রেখে ওই শিশুর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। বুধবার মারা যায় বাঁকুড়ার কোতুলপুরের শ্রীতমা রায়। ঘটনাচক্রের আবার আগামী রবিবার তার জন্মদিন ছিল। জন্মদিনের তিনদিন আগে মেয়েকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকেরা।

বাঁকুড়া শহরের পাটপুরের বাসিন্দা তিয়াত্তর বছরের শংকরচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। শরীরে পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের ঘাটতির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন অবসরপ্রাপ্ত ওই পুলিশকর্মী। তাঁকে ভরতি করা হয় বাঁকুড়া শহরের একটি নার্সিংহোমে। কিন্তু, শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় শংকরবাবুকেও কলকাতায় নিয়ে গিয়ে নার্সিংহোমে ভরতি করেন পরিবারের লোকেরা। একদিন পর্যবেক্ষণে রেখে ওই বৃদ্ধকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক। শুক্রবার সে্খানেই মারা যান শংকরচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, কলকাতার নার্সিংহোমে রক্ত পরীক্ষায় সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়েছিল। এদিকে আবার বাঁকুড়ায় সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত আরও এক মহিলা হাসপাতালে ভরতি বলে জানা গিয়েছে।