মারা গেল জঙ্গি সংগঠন ‘হাক্কানি নেটওয়ার্ক’-এর প্রতিষ্ঠাতা জালালউদ্দিন হাক্কানি।


মারা গেল জঙ্গি সংগঠন 'হাক্কানি নেটওয়ার্ক'-এর প্রতিষ্ঠাতা জালালউদ্দিন হাক্কানি। তার মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করেছে তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। এই ঘোষণায় আপাতত স্বস্তির স্বাস ফেলেছে আমেরিকা ও আফগানিস্তান।
 
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন থেকেই অসুস্থ ছিল জালালউদ্দিন। 'কোয়েটা শুরা'র এক প্রভাবশালী সদস্য ছিল সে। তালিবান-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন নিয়ে গঠিত 'কোয়েটা শুরা'। বালোচিস্তান থেকেই সমস্ত কার্যকলাপ চালায় এই সংগঠনটি। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা ও ন্যাটোর বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে হাক্কানি নেটওয়ার্ক। পাকিস্তান থেকেই সমস্ত গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে সংগঠনটি। তাই জালালউদ্দিনের মৃত্যুতে খানিকটা স্বস্তি পেয়েছে আমেরিকা। মতাদর্শে তালিবানের সমর্থক জঙ্গি সংগঠনটি। আফগানিস্তানে 'শরিয়া রাজ' কায়েম করা ও পশ্চিমের দেশগুলির 'সাংস্কৃতিক প্রভাবের' বিরুদ্ধে 'জেহাদ' ঘোষণা করেছে হাক্কানি নেটওয়ার্ক। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মোল্লা ওমরের মৃত্যুর পর তালিবানকে এককাট্টা রাখে জালালউদ্দিন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে জঙ্গি সংগঠনটির শক্তি বাড়িয়ে তোলে সে। এছাড়াও আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে আল কায়দার নাশকতামূলক কাজের নেপথ্যেও রয়েছে ওই জঙ্গিনেতার হাত।

স্বাভাবিকভাবেই জঙ্গি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুতে স্বস্তি পেয়েছে আমেরিকা। তবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, হাক্কানি নেটওয়ার্ক নামের 'ভস্মাসুর'টির জন্ম দিয়েছে খোদ আমেরিকাই। ১৯৮০ সালে হাক্কানির সঙ্গে গলায় গলায় ভাব ছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিএইএ-র। এর আগের বছরই বা ১৯৭৯ সালেই আফগানিস্তানে হানা দেয় সোভিয়েত বাহিনী। তারপরই হাক্কানি যোদ্ধাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে সিআইএ। লালফৌজের (ইউএসএসআর) বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে সংগঠনটি। পাশাপাশি মুজাহিদদেরও মদত দেয় আমেরিকা। তবে সোভিয়েত সেনা আফগানিস্তান থেকে সরে গেলেও থেকে যায় আমেরিকার তৈরি ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন। আজ সেই দানবের কোপেই পড়তে হচ্ছে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীকে। যদিও সংগঠনটিকে ২০১৫ সালেই নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান তবুও ওই জঙ্গিদের মদত যোগাচ্ছে পাক সেনা।


Highlights
মারা গেল জঙ্গি সংগঠন 'হাক্কানি নেটওয়ার্ক'-এর প্রতিষ্ঠাতা জালালউদ্দিন হাক্কানি।

এই ঘোষণায় আপাতত স্বস্তির স্বাস ফেলেছে আমেরিকা ও আফগানিস্তান।