টোকিয়োয় ফাইনালের স্বপ্ন দেখছেন দ্যুতি



দ্যুতি চন্দ জাকার্তা এশিয়ান গেমসে দু'টি সোনা জিতেছেন। ১০০ এবং ২০০ মিটার দৌড়ে। হাতে গোণা সামান্য কয়েক জনই একই এশিয়াড থেকে একাধিক পদক আনতে পেরেছেন। পিটি ঊষা যেমন। বা জ্যোতির্ময়ী শিকদার, সুনীতা রানি। দেশে ফিরে নিজের এই অসাধারণ সাফল্য নিয়ে দ্যুতি বললেন, ''সাফল্যের রহস্য একটাই। প্রচুর পরিশ্রম। এশিয়ান গেমসে দু'টি পদক আমার কাছে বিশাল ব্যাপার। তবে ব্যক্তিগত ভাবে ১০০-র রুপো জয়টা বেশি উপভোগ করেছি।''

একশো মিটারে রুপো কেন তাঁকে বেশি আনন্দ দিয়েছে তাও ব্যাখ্যা করেছেন দ্যুতি, ''১০০ মিটারের জন্য আমি অনেক বেশি খেটেছি। তা ছাড়া সোনা পাইনি সেকেন্ডের সামান্য ভগ্নাংশের জন্য।'' দ্যুতি ১০০ মিটারে সময় করেছেন ১১.৩২ সেকেন্ড। সোনাজয়ী বাহরিনের অ্যাথলিট ওদিয়ং এদিদিয়ং সময় করেছেন ১১.৩০ সেকেন্ড।

মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে প্রতিযোগিতায় নামার অযোগ্য বিবেচনা করে দ্যুতিকে ২০১৪ সালের কমনওয়েলথ গেমসের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ওড়িশার কুড়ি বছর বয়সি এই অ্যাথলিট এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করে বিজয়ী হন। জীবনের অন্ধকার সেই সময়ে দ্যুতিকে নিজের অ্যাকাডেমিতে নিয়ে আসেন ব্যাডমিন্টন কোচ পুলেল্লা গোপীচন্দ। যে কথা স্মরণ করে দ্যুতি বলেছেন, ''ওই সময় বেশ কয়েক বছর আমি  গোপীচন্দ অ্যাকাডেমিতে ছিলাম। ওখানে থেকেই আইনি লড়াই লড়েছি এবং অ্যাথলেটিক্সের প্রস্তুতিও নিয়েছি। গোপীস্যারের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।'' ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও বলেছেন তিনি, ''জাকার্তায় দু'বার সোনা জিততে পারিনি। ঈশ্বর যদি এটাই চান তা হলে আমার কী করার থাকতে পারে। আপাতত লক্ষ্য অলিম্পিক্স। টোকিয়োতে ফাইনালে উঠতে চাই।''