রাজ্য সরকারের কাছে বাড়ি চাইলেন স্বপ্না বর্মন


রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে দশ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। স্বপ্না বর্মন তা নিয়ে কোনও কথা বলছেন না। তবে চারপাশে কথা উঠছে, এত বড় সাফল্যের নিরিখে দশ লক্ষ টাকা নিমিত্ত মাত্র। যেখানে এশিয়ান গেমসে আরেক পদকজয়ী দ্যুতি চাঁদকে ওড়িশা সরকারের তরফে তিন কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। হরিয়ানা সরকারও পদকজয়ীদের জন্য তিন কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করেছে। সেখানে স্বপ্না বর্মন হেপ্টাথলনে সোনা জিতে পাবেন মাত্র দশ লাখ টাকা।

স্বপ্না বলছেন, ''এই নিয়ে আমি কিছু বলব না। সরকারের তরফে আমাকে ও ভাইকে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দেখা যাক! আমার কাছে অন্য অনেক জায়গা থেকে চাকরির প্রস্তাব রয়েছে। কোন প্রস্তাবে সায় দেব সেটা ভেবে দেখার ব্যাপার। অর্থাত্ সরকারের দেওয়া চাকরি তিনি নেবেন কিনা তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের কাছে স্বপ্না আরও একটা আবদার রাখলেন।''

স্বপ্না বলছিলেন, ''সল্ট লেকের সাই কমপ্লেক্সের বাইরে আমাকে একটা বাড়ি দেওয়া হলে ভাল হয়। আসলে আমি এখন সাইতে থাকি। এখন আমার পারফরম্যান্স ভাল তাই সাই-তে আমাকে থাকতে দেওয়া হয়। কিন্তু কখনও আমার পারফরম্যান্সে ঘাটতি হলে তো সেখানে আর থাকতে দেওয়া হবে না। তাই সাইয়ের কাছাকাছি আমি একটা বাড়ি পেলে ভাল হয়। সেখান থেকে সাইতে ট্রেনিং করতে যেতে আমার পক্ষে সুবিধা হবে। সরকারের কাছে আমার এই আর্জি রইল।''

এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ের পিছনে স্যর সুভাষ সরকারের অবদানের কথা বারবার বলে এসেছেন স্বপ্না। এদিনও তাই বললেন। একটা সময় প্রায় তিনমাসের জন্য বাড়ি থেকে দূরে ছিলাম। স্যর সেই সময় আমাকে বারবার জলপাইগুড়ি ফিরতে বলতেন। শেষমেষশ ফিরেছিলাম। এখন ভাবি সেদিন স্যরের কথা শুনেছিলাম বলেই আজ এই সাফল্য।