তিন পুলিশ অফিসারকে হত্যার পরই উপত্যকায় ইস্তফার হিড়িক

ইস্থপা দেওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করা তিন পুলিশকর্মী।

প্রথমে ভিডিয়ো ছড়িয়ে হুমকি জঙ্গিদের। তারপর তিন জনকে অপরহরণ করে খুন। জোড়া আতঙ্কে উপত্যকায় ইস্তফার হিড়িক। অন্তত ছ'জন স্পেশাল পুলিশ অফিসার (এসপিও) পদত্যাগের কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রের বক্তব্য,  এ সবই 'অসত্য ও অপপ্রচার।'

মঙ্গলবার হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিদের একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেয়। তাতে স্পেশাল পুলিশ অফিসারদের হুমকি দেওয়া হয়, ''চার দিনের মধ্যে ইস্তফা দাও, নয় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাক।'' এর পর বৃহস্পতিবার রাতে সোপিয়ান থেকে তিন পুলিশ অফিসার ও এক কনস্টেবলকে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। তাঁদের মধ্যে তিন জন খুন হন। শনিবার সকালে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। 

এই ঘটনার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর ইস্তফার ভিডিয়ো পোস্ট হতে শুরু করে। কুলগামের এক এসপিও ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, ''আমার নাম নওয়াজ আহমদ। কুলগামের বাসিন্দা। আমি এসপিও হিসাবে কাজ করছিলাম। আমার নিজের ইচ্ছায় ও কোনওপ্রকার চাপ বা বাধ্যবাধকতা ছাড়াই এই পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।'' সাবির আহমদ নামে এক এসপিও-র বক্তব্য, ভিডিয়োর মাধ্যমে তিনি সবাইকে জানাতে চান, পুলিশ বিভাগের সঙ্গে  তাঁর আর কোনও সম্পর্ক নেই। বাকিদের বক্তব্যও প্রায় একই।

একের পর এক ইস্তফার এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, সংবাদ মাধ্যমের একটি অংশে কয়েক জন এসপিও-র ইস্তফার খবর ছড়িয়েছে। কিন্তু জম্মু কাশ্মীর পুলিশ নিশ্চিত করেছে, এই সব রিপোর্ট অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। চক্রান্তকারীরা ইচ্ছে করেই এই সব মিথ্যা ভিডিয়ো ছড়াচ্ছে।

মঙ্গলবার জঙ্গিদের ছড়ানো ওই ভিডিয়োয় হুমকি দেওয়া হয়, মূলত স্পেশাল পুলিশ অফিসারদের। কারণ জঙ্গিরা মনে করে, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এই এসপিও-রা সোর্স হিসেবে কাজ করে। এই সব পুলিশকর্মীরা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে থেকে কাজ করেন। তাই জঙ্গিদের গতিবিধি বুঝতে পারেন। আর এই কারণেই জঙ্গিরা এসপিও-দের টার্গেট করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।