মাঝেরহাট ব্রিজের অবস্থা ভাল নয়, চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকারকে জানিয়েছিল রেল


একই চিঠিতে শেষ অনুচ্ছেদে জানানো হয়, ওই সেতুর মোমিনপুরের দিকে শিয়ালদহের পাশে খালের ওপরে একটি চিড় রয়েছে। যার অবিলম্বে মেরামতি প্রয়োজন। এত গুরুতর সতর্কবার্তা থাকলেও কেএমডিএ-র কোনও আধিকারিকের তা চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ। 


মাঝেরহাট সেতুর যে লড়ঝরে অবস্থা তা মাসখানেক আগেই চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। চিঠির প্রতিলিপি প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করল রেল। শুক্রবার রেলের তরফে প্রকাশিত মাঝেরহাট সেতুর যে অংশ ভেঙে পড়েছে তার সংস্কার প্রয়োজন বলে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ওই চিঠিতে। 

গত ২৭ অগাস্ট রেলের ব্রিজ বিভাগের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার চিঠিটি লেখেন কেএমডিএ সাউথ সার্কেল ইঞ্জিনিয়ারকে। চিঠিতে জানানো হয়, মাঝেরহাট সেতুর রেল লাইনের উপরের অংশের মেরামতি করবে রেল। সেজন্য বেশ কিছু তার ও পাইপলাইন সরানোর প্রয়োজন। একই চিঠিতে শেষ অনুচ্ছেদে জানানো হয়, ওই সেতুর মোমিনপুরের দিকে শিয়ালদহের পাশে খালের ওপরে একটি চিড় রয়েছে। যার অবিলম্বে মেরামতি প্রয়োজন। এত গুরুতর সতর্কবার্তা থাকলেও কেএমডিএ-র কোনও আধিকারিকের তা চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ।

কিন্তু প্রশ্ন হল, মাঝেরহাট সেতুর মেরামতির দায়িত্ব পিডাব্লুডির হলেও কেন কেএমডিএ-কে চিঠি পাঠাল রেল? রেলের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতার অধিকাংশ সেতুরই দেখভাল করে কেএমডিএ। ফলে মাঝেরহাট সেতুও তাদের এক্তিয়ারভুক্ত বলে মনে করেছিলেন রেলের ইঞ্জিনিয়ার। প্রশ্ন হল, এত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা কেন পিডাব্লুডির কাছে পৌঁছে দিল না কেএমডিএ। সরকারের ২ বিভাগের মধ্যে কি এতটুকু সমন্বয় থাকতে নেই?