রাষ্ট্রপতির শিলমোহর, দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি গগৈ

দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে রঞ্জন গগৈয়ের নাম আগেই প্রস্তাব করেছিলেন দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। এবার তাঁর সুপারিশে শিলমোহর দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই নিয়ে তিনি যাবতীয় কাগজপত্রে ইতিমধ্যেই সই করে দিয়েছেন। গগৈয়ের নিয়োগপত্রও তৈরি হয়ে গিয়েছে।

৩ অক্টোবর তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন। তিনি হবেন দেশের ৪৬তম প্রধান বিচারপতি।  ১৩ মাস সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকবেন তিনি। ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর তাঁর মেয়াদ শেষ হবে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে। দেশের পরবর্তী বিচারপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রধান বিচারপতির মতামত ও সুপারিশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই অনুযায়ী অবসরের আগে তিনি তাঁর সুপারিশের কথা জানান সরকারকে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র জানিয়েছিলেন, তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে দেখতে চান।

প্রধান বিচারপতির এই ঘোষণার পর হতবাক হন অনেকেই। কারণ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যাঁরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন, সেই দলের পুরোভাগে ছিলেন গগৈও। ১২ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন দেশের প্রবীণ চার বিচারপতি। শীর্ষ আদালতের সেই চার বিচারপতি হলেন জে চেলামেশ্বর, কুরিয়েন জোশেফ, রঞ্জন গগৈ এবং মদন লোকুর। দেশের বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁরা সরব হন। তাঁরা বলেছিলেন, '‌বিচারব্যবস্থা নিরপেক্ষ না হলে গণতন্ত্র বাঁচবে না। এই মুহূর্তে দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন। বিচারের নামে চলছে বেনিয়ম। মামলা বণ্টনের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে। আদালতের মধ্যেই নিয়ামানুবর্তিতা মেনে চলছেন না প্রধান বিচারপতি।'‌ এমন ঘটনার পরেও দীপক মিশ্র কীভাবে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে রঞ্জন গগৈকে বাছলেন, তা নিয়ে অনেকেই উপযুক্ত উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। যদিও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবার দেশের প্রধান বিচারপতির পদে বসার কথা ছিল বিচারপতি গগৈয়ের।

বিচারপতি গগৈ ২০০১ সালে দিল্লি হাইকোর্টে ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২০১২ সালের এপ্রিলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যোগ দেন।