এবার এসে গেল হাইড্রোজেন ট্রেন! কী ভাবে কাজ করে, জেনে নিন বিস্তারিত


বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চালু করল জার্মানি। প্রথমে দুটি ট্রেন নামানো হয়েছে। ট্রেন দুটি তৈরি করেছে ফ্রান্সের কোম্পানি অ্যালস্টম। ব্যয়বহুল হলেও, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার হওয়ায় এই ট্রেন দূষণ সৃষ্টিকারী ডিজেল ট্রেনকে যে চ্যালেঞ্জ জানাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

উজ্জ্বল নীল রঙের কোরাডিয়া লিন্ট ট্রেন দুটি উত্তর জার্মানির ১০০ কিমি রুটে চলাচল শুরু করেছে। কাক্সহাভেন, ব্রেমারহাভেন, ব্রেমারভোয়ারডে এবং বাক্সটহুডের মধ্যে চলাচল করছে ট্রেন দুটি। এই রুটে মূলত ডিজেল ট্রেন চালানো হত।

বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেন বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করেছে। এছাড়াও পরবর্তী ট্রেন তৈরিতেও তারা তৈরি। ব্রেমারভোয়ারডে-তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন প্রস্তুতকারী অ্যালস্টমের সিইও হেনরি পৌপার্ট লাফার্জ। ব্রেমারভোয়ারডে-তে হাইড্রোজেনকে জ্বালানি হিসেবে ভরার বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে।

অ্যালস্টমের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২১ সাল নাগাদ তারা আরও ১৪ টি ট্রেন সরবরাহ করতে পারবে। জার্মানির অপর একটি প্রদেশও এই ট্রেন নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।

হাইড্রোজেন ট্রেনগুলিতে জ্বালানির জন্য আলাদা প্রকোষ্ঠ রয়েছে। যেখানে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। ট্রেন থেকে শুধুমাত্র ধোঁয়া এবং জল নিঃসরণ হয়।

চালু অবস্থায় অতিরিক্ত শক্তি ট্রেন থাকা লিথিয়াম ব্যাটারিতে জমতে থাকে। কোরাডিয়া লিন্ট ট্রেনে থাকা এক ট্যাঙ্ক হাইড্রোজেন থাকে। যাতে ট্রেন প্রায় হাজার কিমি চলতে পারে। জ্বালানির জন্য ডিজেল ট্রেনেও প্রায় একই বন্দোবস্ত থাকে।

প্রস্তুতকারী অ্যালস্টমের তরফ থেকে প্রযুক্তিকে পরিবেশ বান্ধব, নন-ইলেকট্রিফায়েড রেললাইনে ডিজেলের বিকল্প হিসেবে দাবি করেছে। জার্মানির শহরগুলিকে বায়ু দূষণ থেকে বাঁচাতে যা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।
অ্যালস্টমের প্রোজেক্ট ম্যানেজার স্টিফান স্রাঙ্ক বলেছেন, মূল্যের দিক থেকে ডিজেল ট্রেনের তুলনায় এই হাইড্রোজেন ট্রেন অত্যধিক ব্যয়বহুল। কিন্তু ট্রেন চালানোর খরচ কম। ব্রিটেন, নেদারন্যান্ডস, ডেনমার্ক, নরওয়ে, ইটালি এবং কানাডাও হাইড্রোজেন ট্রেনের বিষয়ে খোঁজখবর চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যালস্টম।

ফ্রান্সের সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, ২০২২ সাল নাগাদ সে দেশে প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেন চলা শুরু করবে।