বিপদকে আঙুলে নাচাতেন এই শহিদ জওয়ান

শ্রীনগর: দেশের জন্য লড়বেন বলেই ২০০৭ সালে যোগ দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীতে৷ শেষ অবধি লড়াইয়ের ময়দানে দাঁড়িয়ে শত্রুর চোখে চোখ রেখে লড়েও গেলেন লান্স নায়ক শহিদ সন্দীপ সিং৷ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত, প্যারা কমান্ডোর টিমে ছিলেন সন্দীপ৷ বয়স তখন আরও কম৷ কিন্তু চোখে মুখে জেদ, লড়কে লেঙ্গে আজাদি-ই আপ্তমন্ত্র৷ সোমবারও কুপওয়াড়ায় সীমান্তবলে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই লড়ে গিয়েছেন এই বীর তরুণ৷ তংধার সেক্টরে এলওসিতে তিন সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করেছেন নিজে হাতে৷ লড়াইয়ের ময়দানেই শহিদ হন সন্দীপ সিং৷

পঞ্জাবের গুরদাসপুরের সন্দীপ সিং চার প্যারা কমান্ডো সার্চ পার্টি লিড করতেন৷ তাংধার সেক্টরেই কর্তব্যরত ছিলেন তিনি৷ মা, বাবার হেফাজতে স্ত্রী ও পাঁচ বছরের ছেলেকে রেখে দেশের জন্য লড়াইয়ে নামেই এই বীর তরুণ৷ ২০১৬ সালের সেটাও ছিল সেপ্টেম্বর মাস৷ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ভারতের৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেই লড়াইয়ের অংশীদার হয়েছিলেন লান্স নায়ক শহিদ সন্দীপ সিং৷ সে সময় এলিট স্পেশাল ফোর্সে ছিলেন তিনি৷

এও এক সেপ্টেম্বর মাস৷ সূত্রের খবর, নিজের নিরাপত্তার কথা একবারও না ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্কোয়াডের অন্যান্য সদস্যদের রক্ষা করতে৷ জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় সন্দীপের মাথায় আঘাত লাগে৷ কিন্তু ময়দান ছাড়েননি৷ অপারেশনে তিন জঙ্গিকে শেষও করেন৷ কিন্তু অপারেশনের খবর ছড়াতেই স্থানীয় কিছু যুবক সুরক্ষাবলের উপর পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন৷ অপারেশন চলাকালীন শহিদ হন সন্দীপ৷

মঙ্গলবার গ্রামে পৌঁছবে এই বীর সেনানায়কের কফিনবন্দি দেহ৷ স্কোয়াডের চনমনে, সাহসী ছেলেটা আর ফিরবে না-এ কথা ভাবতেই পারছেন না তাঁর সঙ্গীরা৷ বিপদকে আঙুলে নাচানোর জন্য যে সাহস দরকার, যে বুকের পাটা দরকার তার সবটা দিয়ে নিজেকে দেশের জন্য নিবেদিত করেছিলেন সন্দীপ৷ যেতে যেতে সেই সাহসটাই রেখে দেখিয়ে গেলেন শহিদ জওয়ান সন্দীপ সিং৷