যুগান্তকারী আবিষ্কার! এবার ১৫০ বছর বাঁচতে পারবেন আপনিও


বিজ্ঞানের এক আজব আবিষ্কারে এক লাফে আপনার বয়স কমবে ৫০ বছর। শুনতে অবাক লাগছে তো? ভাবছেন সময়ের সাথে বয়সের ভারে নুয়জ হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে বয়স নাকি কমবে? কিন্তু আপনি অবাক হলেও হার্ভার্ডের প্রফেসর ও নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা যে পদ্ধতির আবিষ্কার করেছেন, তা শুনলে আপনি চমকে যেতে বাধ্য।

১.বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই পদ্ধতি আপনার বয়স কমাবে পঞ্চাশ বছর।

২.বিজ্ঞানীরা যে ওষুধটি তৈরি করেছেন তা ইঁদুরের উপর প্রয়োগ করে দেখা গেছে তারা তাদের স্বাভাবিক জীবন সীমার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশী সময় বেঁচে থাকতে পারছে।

৩.শরীরের কোষ গুলি নূতনভাবে কাজ করার ক্ষমতা ফিরে পেলে শরীরের অনুগুলি অঙ্গ-প্রতঙ্গ গুলিকে নতুনভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।

৪.আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই মানুষের হাতের মুঠোয় থাকবে এই ওষুধ।

৫.মানুষের উপর এই ওষুধের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফল হলেই তা সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে।  বয়স বাড়লেও আপনার ত্বকের জৌলুশ ধরে রাখতে কত অ্যান্টি এজিং ক্রিমই না ব্যবহার করেছেন

কিন্তু যদি এক ওষুধেই বয়স কমে পঞ্চাশ বছর, তাহলে? গবেষণা বলছে এই নতুন পদ্ধতিতে মানুষ প্রায় ১৫০ বছর বাঁচতে পারবে। এবং ২০২০র মধ্যে সমস্ত অঙ্গ-প্রতঙ্গকে নতুন প্রানশক্তিতে উজ্জীবিত করতে পারবে।

ডাঃ সিনক্লিয়ার জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের অঙ্গ-প্রতঙ্গকে পুনর্জীবিত করার পাশাপাশি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত মানুষকে আবার নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে সাহায্য করবে মাত্র দু'বছরের মধ্যে।

অন্যদিকে বেশকিছু গবেষক তাঁদের গবেষণায় তুলে এনেছেন আরও এক তথ্য। শরীরে ভিটামিন বি সৃষ্টিকারী ওষুধ প্রয়োগের ফলে ইঁদুরের জীবনকাল বৃদ্ধি হয় স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ১০গুণ বেশী। পাশাপাশি মানুষের বার্ধক্য জনিত সমস্যা যার অন্যতম উদাহরণ চুল পড়া, তার হাত থেকেও রেহাই দেবে এই ওষুধ।

প্রফেসর সিনক্লিয়ার জানিয়েছেন, 'পাঁচ বছরের মধ্যেই এক কাপ কফির দামে আপনি এই ওষুধ কিনতে পারবেন'।তবে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের প্রজননস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক মানুষকে সতর্ক করেছেন, এই গবেষণা সম্পূর্ণভাবে সফল বা প্রমাণিত না হওয়া এবং এর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট সামনে না আসা পর্যন্ত এই ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়'।

পারকিন্সনের চিকিৎসার জন্য এই রাসায়নিকটি বর্তমানে ব্যবহার করা হয়।প্রফেসর সিনক্লিয়ার যিনি নিজে এই ওষুধ ব্যবহার করেছেন তিনি জানিয়েছেন তাঁর জৈবিক বয়স প্রায় ২৪ বছর হয়ে গিয়েছে।পাশাপাশি তাঁর পরিবারের কয়েক জনের ওপর এই ওষুধ ব্যবহারের সুফল তুলে ধরেছেন তিনি।  তাহলে না হয় আর একটু ধৈর্য ধরে আরও একটু বুড়িয়ে নিন, তারপর তো হবেই আপনার পার্মানেন্ট 'এজ মিরাকেল'।