৪৯৮এ ধারায় অভিযুক্ত হলেও আগাম জামিনের আবেদন করা যাবে : সুপ্রিম কোর্ট

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারা অর্থাত্ গার্হস্থ্য হিংসার হাত থেকে গৃহবধূদের রক্ষাকবচ হিসাবে দেখা হয় যে আইনকে, দেশ জুড়ে তারই 'অপব্যবহার' হচ্ছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়টি বিবেচনা করল এবং এই ধারায় অভিযুক্তরা এখন থেকে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারবেন বলেও জানানো হল। এতদিন এটি জামিন অযোগ্য অভিযোগ ছিল।

৪৯৮এ ধারার 'অপব্যবহার'-এর বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়ে একগুচ্ছ আবেদন জমা হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল এ মামলাগুলিতে রায় ঘোষণা না করে তা পিছিয়ে দেয়। এর আগে গত বছর জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ ৪৯৮এ ধারার অপব্যবহারের বিষয়ে কড়া অবস্থান গ্রহণ করে। অভিযোগ ভাল করে খতিয়ে না দেখে অভিযুক্তকে গ্রেফতারই করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয়।

এরমধ্যে মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার বেশ কিছু মহিলা আইনজীবীদের তৈরি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'নয়াধার' সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা করে। তাদের দাবি, ৪৯৮এ ধারাকে আরও তীক্ষ্ণ করা প্রয়োজন (অর্থাত্ স্বামী-শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে), না হলে আক্রন্তদের এই 'রক্ষাকবচ' ক্রমশ 'অকেজো' হয়ে পড়বে।

এরপর সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আজ জানায়, পণ প্রথা ও গার্হস্থ্য হিংসার হাত থেকে মেয়েদের রক্ষা করা নিশ্চিতভাবেই আদালতের দায়িত্ব। পাশাপাশি, ৪৯৮এ ধারার মতো আইনের অপব্যবহার করে যদি সমাজে পুরুষদের অকারণ হয়রানি করা হয় তাহলে সেটি রোখাও আদালতের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এ ক্ষেত্রে যাতে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্ট না হয়, তাও দেখতে হবে। এরপরই শীর্ষ আদালত জানায়, এবার থেকে ৪৯৮এ ধারায় অভিযুক্তরাও আগাম জামিনের আবেদন করতে পারবে। সামাজিক দিক থেকে সুপ্রিম কোর্টের এদিনের এই রায়কে অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।