ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে খুন লালগোলায়

বহরমপুর: বছর ৪৫-এর এক ব্যক্তি৷ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন পাশের ক্লাবে৷ উদ্দেশ্য ছিল আড্ডা দেওয়া৷ ক্যারাম খেলা৷

কিন্তু সেই ক্যারাম খেলাই যে তাঁর কাল হবে তো ঘুণাক্ষরেও টের পাননি মুরশান নবিউল হক৷ অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের লালগোলার নতুনদিয়ার ওই ক্লাবে ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাঁধে৷ আর তার জেরেই খুন করা হয় মুরশানকে৷

মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়৷ মুরশানের পরিবারের দাবি, পূর্ব পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে তাঁকে৷ তাই নিহতের পরিবার এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত দাবি করেছেন৷

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ক্লাবে বদর শেখ ও মুনিয়ার শেখের সঙ্গে ক্যারাম খেলছিলেন মুরশান৷ সেই সময়ই বচসা বাধে৷ আর তার জেরেই খুন হতে হয় মধ্যবয়স্ক ওই ব্যক্তিকে৷

পরিবারের দাবি, বদর ও মুনিয়ার তাদের প্রতিবেশী৷ এই ঘটনায় আরও এক প্রতিবেশী জেনারেল শেখ জড়িত৷ তাই তাদের প্রকৃত শাস্তি দাবি করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে৷ তারা অভিযোগ জানিয়েছেন লালগোলা থানায়৷

পুলিশ জানিয়েছে, বদর শেখ, মুনিয়ার শেখ ও জেনারেল শেখের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ অভিযুক্তরা পলাতক৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷

পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ক্লাবের সব সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ সেই সময় যাঁরা ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ৷ তাদের প্রশ্ন, কী নিয়ে বিবাদ বাঁধল? ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে বচসা থেকেই কি খুন? নাকি এর পিছনে পূর্ব পরিকল্পনা ছিল৷

মুরশানের পরিবারও ঘটনার পিছনে পূর্ব পরিকল্পনা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে৷ কেন এই অভিযোগ মুরশানের পরিবার তুলল, সেটাও খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ৷ অভিযুক্তদের সঙ্গে এর আগে কোনও গোলমাল হয়েছিল কি না, সেটাও জানার চেষ্টা করা হবে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে৷

এর আগে পুলিশ অপেক্ষা করছে মুরশানের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য৷ ওই রিপোর্ট এলেই পুলিশ জানতে পারবে ঠিক কীভাবে খুন করা হয়েছিল মুরশানকে৷ তার পর সেই মতো তদন্ত এগনো যাবে বলেই পুলিশের একটি সূত্রের মত৷