ভাইঝিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, বাধা দেওয়ায় দাদা-বৌদিকে অস্ত্রের কোপ


রাত বেশ অনেকটাই হয়েছে।  বাড়ির কলিং বেলটা বেজে উঠেছিল।  দরজার ফাঁক দিয়ে তরুণী দেখেছিলেন, তার কাকা এসেছেন। তাই সাত পাঁচ না ভেবেই দরজা খুলে দিয়েছিল সে। কিন্তু দরজা খুলতেই বিপত্তি। কাকা যে শুধু একা ছিলেন না, সঙ্গে ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন। মুখে কিছু বলার আগেই ভাইঝির হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন কাকা। তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তরুণীর চিত্কারে  পাশের ঘর থেকে ততক্ষণে ছুটে এসেছেন তার বাবা-মাও।  মেয়েকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। আচমকাই ধারালো অস্ত্র হাতে হামলা চালায় তরুণীর কাকা।  প্রথমে দাদার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন ওই ব্যক্তি। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর ফের হামলা। এবার ডান চোখে গুরুতর আঘাত লাগে, ওই ব্যক্তি হামলা চালান তাঁর বৌদির ওপরও। কিন্তু কেন এমনটা করলেন? মালদার  মোথাবাড়ির দামোদর টোলা এলাকায় রবিবার রাতে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা।

মোথাবাড়ি দামোদর টোলা এলাকার বাসিন্দা সুবল মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর ভাই লক্ষ্ণন মণ্ডলের বিবাদ জমির ফসল নিয়ে। রবিবার সকালেও তা নিয়ে ঝামেলা হয়। কিন্তু বিষয়টা তখনকার মতো মিটে যায়। কিন্তু বিপদ যে এই ভাবে অপেক্ষা করছিল, তা আঁচ করতে পারেননি সুবল। রবিবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে শুতে যাবেন, ঠিক এই মুহূর্তে বাড়ির দরজায় কড়া নড়ে। দরজা খোলেন সুবলের মেয়ে। অভিযোগ, আচমকাই লক্ষ্ণণ, রোহিত ও তার দলবল তাঁর মেয়ের হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন।

অভিযোগ, লক্ষ্মণ ও রোহিত সুবলের  মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। পাশের ঘর থেকে চিত্কার শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন সুবল  ও তাঁর স্ত্রী।  ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।  মাথায় ও ডান চোখে গুরুতর  চোট পান সুবল। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রীও।  মেয়ের চিত্কারে  স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে গেলে লক্ষ্মণ ও তাঁর দলবল পালিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁদের উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।  চিকিত্সকরা জানিয়েছেন,  সুবলের ডান চোখে বেশ ভালো আঘাত লেগেছে।  ভালোভাবে দেখতে পাচ্ছেন না তিনি।

 অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে তাঁর বাবা-মাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত। আহত অবস্থায় মালদা মেডিক্যালে ভর্তি। মোথাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের  করেছে সুবলের মেয়ে। তদন্তে নেমেছে পুলিস। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।