স্বামী ঘরে ঢুকেই আঙুল কেটে কুপিয়ে খুন করল ‘মুক্তমনা’ স্ত্রীকে!


পুরুষ বন্ধুর  সঙ্গে মেলামেশা না পছন্দ ছিল স্বামীর।  ছেলেমেয়ে বড় হয়ে গিয়েছে, তাই স্ত্রীর  বর্হিমুখী জীবনযাত্রায় রাশ টানতে চেয়েছিলেন স্বামী। বারবার বারণ করেছিলেন স্ত্রীকে, শোনেননি।  বরং  মুক্তমনা স্ত্রী স্বামীর 'বারণ'কে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলেন। যা যা স্বামী নিষেধ করতেন, তাই করতেন তিনি। কিন্তু মাত্রা ছাড়াল বুধবার। স্বামী-দুই মেয়ের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে পুরুষ বন্ধু ডেকে মদ্যপান করছিলেন স্ত্রী। আচমকাই ঘরে ঢুকে পড়েন স্বামী। স্ত্রীকে এই অবস্থায় দেখে মাথার ঠিক রাখতে পারেননি তিনি। ঘটে যায় মর্মান্তিক ভয়ঙ্কর ঘটনা। স্ত্রীয়ের হাতের আঙুল কেটে ফেলেন স্বামী, পরে চলে এলোপাথাড়ি কোপ। বীভত্স ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের  সদাইপুরের সাহাপুর গ্রামে।

বীরভূমের সদাইপুর থানার অন্তর্গত সাহাপুর গ্রাম।  এই গ্রামেরই সাতদুল দাসের সঙ্গে সতেরো বছর আগে বিয়ে হয়েছিল পানুরিয়া গ্রামের সনোকা দাসের।  এক ছেলে  ও  এক মেয়েকে নিয়ে ছিল তাঁদের সুখে সংসার।  কিন্তু বছর দুয়েক আগের থেকে হঠাত্ই  মদ্যপান করতে শুরু করেন সনোকা।  বিবাহ বর্হিভূত  সম্পর্ক জড়িয়ে যান স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে। ওই যুবককে প্রাইয়শই বাড়িতে ডাকতেন সনোকা। একসঙ্গে বসে মদ্যপান করতেন বলে অভিযোগ ।

 মায়ের মদ্যপান করাকে নিয়ে প্রায়শই বাবার সাথে ঝামেলা লেগেই থাকত ,  জানান ছেলেমেয়ে।  মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতদুল দাস বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন, ছেলেমেয়েও বাড়িতে ছিলেন না। সেসময় পুরুষ বন্ধুকে বাড়িতে ডেকে মদ্যপান করতে থাকেন সনোকা।

 সাতদুল বাড়িতে আসতেই তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে ফেলে এবং বেধড়ক মারধর করেন সনোকা। তাঁর ছেলের দাবি, ' আমি যখন বাড়িতে ঢুকলাম তখন দেখি মা অজ্ঞান হয়ে পড়ে  রয়েছে।' হাতের আঙুলগুলি কাটা ছিল। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল মেঝে।  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।   যদিও মৃতার  বাপের বাড়ির  দাবি  চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে সনোকাকে।

তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। মৃতার  স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।