সচিন-দ্রাবিড়দের রেকর্ড ছুঁলেন ধাওয়ান


দুবাই: ইংল্যান্ড সফরে ব্যাট হাতে যেমন ব্যর্থ হয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান৷ ঠিক তেমনই তাঁর ফিল্ডিং নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন উঠেছিল৷ ইংল্যান্ডে একঝাঁক ক্যাচ ছাড়ায় শিখরের ফিটনেস নিয়েও সংশয় প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল সমালোচকদের৷

ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসা যাবৎ সেই ধাওয়ানকেই সম্পূর্ণ ভিন্ন ক্রিকেটার মনে হচ্ছে৷ চলতি এশিয়া কাপে যেমন ব্যাট হাতে চমক দেখাচ্ছেন ভারতীয় ওপেনার, ঠিক তেমনই গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও নজর কেড়েছেন ইতিমধ্যেই৷ অপর্যন্ত এশিয়া চলতি কাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ধাওয়ান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুপার-ফোর'এর ম্যাচে নতুন পালক যোগ করলেন নিজের মুকুটে৷ বিরল নজির গড়ার পথে শিখর বসে পড়লেন সচিন, দ্রাবিড়, গাভাসকরদের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে একাসনে৷

তবে ব্যাট হাতে নয়, দুবাইয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ধাওয়ান ছুঁয়ে ফেলেন সচিনদের এক অনবদ্য ফিল্ডিং রেকর্ড৷ গোটা ইনিংসে তিনি মোট চারটি ক্যাচ ধরেন৷ প্রথমে বুমরাহর বলে ওপেনার নাজমুল হোসেনের ক্যাচ ধরেন তিনি৷ পরে জাদেজার বলে শাকিবের এবং শেষ দিকে বুমরাহর বলেই মেহেদি হাসান ও মুস্তাফিজুরের ক্যাচ তালিবন্দি করেন শিখর৷ উইকেটকিপার ছাড়া একই ওডিআই ইনিংসে চারটি ক্যাচ ধরা সপ্তম ভারতীয় ক্রিকেটারে পরিণত হন তিনি৷

ভারতীয় ক্রকেটার হিসাবে ধাওয়ানের আগে একটি ওয়ান ডে ইনিংসে চারটি করে ক্যাচ ধরেছিলেন সুনীল গাভাসকর, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, মহম্মদ কাইফ ও ভিভিএস লক্ষ্মণ৷

গাভাসকর ১৯৮৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শারজায়, আজহার ১৯৯৭ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টরন্টোয়, তেন্ডুলকর ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঢাকায়, দ্রাবিড় ১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টরন্টোয়, কাইফ ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জোহানেসবার্গে এবং লক্ষ্মণ ২০০৪ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে পার্থে একই ওয়ান ডে ম্যাচে চারটি করে ক্যাচ ধরেন৷

উইকেটকিপার ছাড়া কোনও ফিল্ডারের একটি ওয়ান ডে ইনিংস বা ম্যাচে সর্বাধিক ক্যাচ ধরার রেকর্ড রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসের নামে৷ ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৫টি ক্যাচ ধরেছিলেন৷