৩ মালিক নিখোঁজ, অগ্নিনির্বাপণের ১ কোটি টাকা লোপাট বাগরিতে

বাগরি মার্কেটের তিন মালিক রাধা বাগরি, বরুণরাজ বাগরি এবং মোহন বাগরি। আগুন লাগার পর থেকেই তাঁদের কোনও খোঁজ নেই। বালিগঞ্জ প্লেসে ছেলে বরুণরাজকে নিয়ে থাকেন মা রাধা। সিঁথিতে বাড়ি আরেক ছেলে মোহন বাগরির। বাগরি মার্কেটে আগুন লাগার পর থেকে দুই বাড়িতেই তালা মারা। বাড়ি ছেড়েছেন তিন মালিক। অভিযোগ, তিনজনেই বিপদ বুঝে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন।  বাগরি মার্কেট টেনেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আশুতোষ সিং জানালেন, সেখানে ৯৫৭টি দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকানদারের কাছ থেকে প্রতি বর্গফুট ৪০ টাকা হিসেবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য টাকা নেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে ১ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল মালিকদের হাতে। আগুন লাগার পর দেখা গেল কিছুই হয়নি। ছাদে ৫ হাজার লিটারের ১০টি জলের ট্যাঙ্ক।

কোনওটাতেই জল নেই। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যা করা হয়েছে বলে বলা হয়েছিল, তা কাজ করছে না। তাঁর অভিযোগ, মালিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করেছেন। যাতে ব্যবসায়ীরা সর্বস্বান্ত হয়ে দোকান বিক্রি করে দেন। তাতে সেলামি বাবদ দোকান হাতবদলের জন্য ৫০ শতাংশ মালিকেরা নতুন করে পাবেন। বাগরির এক একটি দোকান হাতবদল হলে সেলামি বাবদ কমবেশি ১ কোটি টাকা দিতে হয়। সেই বাবদ মালিক দোকান–পিছু ৫০ লাখ করে পেয়ে থাকেন। বাগরির এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, অগ্নিনির্বাপণের বরাত যাঁদের দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ৭০ লক্ষ টাকা বকেয়া ।