ইথাইল অ্যালকোহলই ডেকে আনে মৃত্যু

চোলাই সঙ্গে মিশেছিল অতিরিক্ত মাত্রায় ইথাইল অ্যালকোহল। তার জেরেই বিষক্রিয়া। মৃত্যু হয় ১৭২ জনের। আর ওই বিষাক্ত চোলাই গিয়েছিল খোঁড়া বাদশার ঠেক থেকেই। 

তদন্তে নেমে এ কথা জানতে পারে পুলিশ। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ইথাইল অ্যালকোহল মূলত কাঠের আসবাবপত্রে পালিশের কাজে ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে যা চোলাইয়ে নেশার মাত্রা বাড়াতে মেশানো হয়েছিল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, খোঁড়া বাদশার বাড়ি থেকে একাধিক ইথাইল অ্যালকোহলের খালি ও ভর্তি প্লাস্টিকের ড্রাম পাওয়া গিয়েছিল। জার-ভর্তি রাসায়নিক ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃতদের পাকস্থলিতে অতিমাত্রায় ইথাইল অ্যালকোহল পাওয়া গিয়েছিল। যা চোখের রেটিনা ও শ্বাসযন্ত্র বিকল করে দিতে পারে। প্রাথমিক ভাবে শরীরে খিঁচুনি ধরে। বমি হয়। 

২০১১ সালে ১১ ডিসেম্বরের রাত থেকে যাঁরা খোঁড়া বাদশার শুঁড়িখানা থেকে মদ খেয়েছিলেন, তাঁদেরও প্রাথমিক উপসর্গ ছিল খিঁচুনি ও বমি। তারপরে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তাঁরা। যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরা হয় তো কেউ অন্ধ হয়ে গিয়েছেন। কেউ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। 

ময়নাতদন্তকারী এক চিকিৎসকের কথায়, ''ওই দিন কে কতটা মদ খেয়েছিল, তার উপরেই ক্ষতির মাত্রা নির্ভর করেছে। যারা বেশি মাত্রায় খেয়েছিলেন, তাঁদের মৃত্যু হয়। আর যারা ঘটনাচক্রে কম চোলাই খেয়েছিল, তাঁরা দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগছেন।''