হরিয়ানার ধর্ষণ: চেক ফেরালেন মা
হরিয়ানার রেওয়ারি গণধর্ষণ–কাণ্ডে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের একজন হাসপাতালের ডাক্তার, এবং অন্যজন টিউবওয়েল ঘরের মালিক। সেখান থেকে মদের বোতল পেয়েছে পুলিস। ধৃতদের জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা পুলিসের। অপহরণে ব্যবহৃত গাড়িটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কিন্তু ধর্ষণ–কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সেনাকর্মী পঙ্কজ এবং তার সঙ্গী নিশু আর মণীশ এখনও অধরা। এফআইআর রুজু হওয়ার পর শনিবার তাদের ছবি প্রকাশ করেছে হরিয়ানা পুলিস। দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান–সহ অন্য রাজ্যে তাদের খেঁাজ চলছে। ঘটনার পর চার দিন কেটে গেছে। অভিযুক্তরা ধরা না পড়ায় প্রশ্ন নানা মহলে। প্রশ্ন নির্যাতিতার পরিবারের। ক্ষতিপূরণের টাকা ফিরিয়ে দিয়ে নির্যাতিতার মা বলেন, 'এটাই কি আমার মেয়ের সম্মানের দাম? আমরা ন্যায় বিচার চাই।'
কোচিং থেকে ফেরার পথে বুধবার ১৯ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে মহেন্দ্রগড় জেলার কানিনায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাস্থলের কাছেই একটি টিউবওয়েল ঘর রয়েছে। সেখানেই মাদক–মেশানো ওষুধ খাইয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। তদন্ত শুরুর পর রবিবার ওই টিউবওয়েল ঘরের মালিক এবং প্রথমে যিনি নির্যাতিতার চিকিৎসা করেছেন, সেই ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। রিপোর্টে প্রকাশ, ১৯ বছরের কিশোরী মৃতপ্রায় হয়ে পড়ার পর অভিযুক্তরা ওই ডাক্তারকে ডাকেন।
এদিকে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকেরা গতকাল নির্যাতিতার বাড়ি যান। হরিয়ানা ভিকটিম কমপেনসেশন স্কিমের আওতায় তঁারা ২ লাখ টাকার চেক নিয়ে যান। কিন্তু পরিবার নারাজ। নির্যাতিতার মা বলেন, 'অভিযুক্তরা অবাধে ঘুরছে। ওদের ফঁাসিতে ঝোলানো উচিত। আমার মেয়ে আতঙ্কগ্রস্ত। ওর ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না। সেদিকে নজর নেই, আমাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে! আমরা এই চেক চাই না। এটাই কি আমার মেয়ের সম্মানের দাম? আমরা ন্যায় বিচার চাই। আইনের লম্বা হাতের কথা শুনি। কিন্তু পুলিস কী করছে? অভিযুক্তরা এখনও ধরা পড়ল না!'