শান্তি আলোচনা ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে নাঃ বিপিন রাওয়াত

সেনাপ্রধান জেনেরাল বিপিন রাওয়াত

ভারত ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেন সেনাপ্রধান জেনেরাল বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন, "শান্তি আলোচনা ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না।" সেনাপ্রধান আরও জানান, ভারত সরকারের নীতি স্পষ্ট। পাকিস্তানকে কাজের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করতে হবে তারা আলোচনার টেবিলে বসতে আগ্রহী কি না। তিনি বলেন, "পাকিস্তানকে প্রমাণ করতে হবে তারা সন্ত্রাস দমনে সমান উদ্যোগী।"

তিনি আরও জানান, কী পরিস্থিতিতে দু'দেশের মধ্যে আলোচনা হবে সে বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে, এখনকার পরিস্থিতি বিচার করলে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, "গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান মুখে বলছে, তাদের দেশের মাটিকে বিদেশি রাষ্ট্রে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে দেবে না। কিন্তু, বাস্তবে পাকিস্তান সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তান থেকেই সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরা ভারতে ঢুকছে।"

২১ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের হাতে তিন পুলিশকর্মীর নৃশংস হত্যার পর ভারতের বিদেশমন্ত্রক দু'দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক বাতিল করে। বিদেশমন্ত্রক কড়া ভাষায় জানায়, পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর আসল চেহারা প্রকাশ পেয়েছে। মুখে শান্তির কথা বললেও বাস্তবে তিনি সন্ত্রাস রুখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

অপরদিকে জেনেরাল রাওয়াত বলেন, "জম্মু-কাশ্মীরে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয় সেই বিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ নেবে সেনা। আমাদের দায়িত্ব জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখা। নাগরিকরা অবাধভাবে যাতে ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে।" তিনি আরও বলেন, "জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকরা প্রশাসনিক গাফিলতি নিয়ে অভিযোগ করে। কার্যকরী প্রশাসন চাইলে এটাই তাদের সুযোগ।" তাঁর প্রশ্ন, "পঞ্চায়েত নির্বাচন যেখানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সেখানে কেন কেউ এর বিরোধিতা করবে?"