বনধের বলি হতে হল ২ বছরের শিশু


জ্বালানির জ্বালা তো কম ছিল না, তার উপর বনধের কি আদৌ প্রয়োজন ছিল? প্রশ্নটি তুলে দিল বিহারের জেহানাবাদের এই ঘটনা। বনধের বলি হতে হল ২ বছরের শিশুকে। বনধের জন্য অবরোধ, আর তাতে আটকে অ্যাম্বুল্যান্সও। যত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেই বনধ ডাকা হোক, মানুষের জীবনের থেকে যে তা গুরুত্বগূর্ণ নয়, তা বোধ হয় ভুলে গিয়েছিলেন বনধ সমর্থকরা। তাই অ্যাম্বুল্যান্সকেও রাস্তা ছাড়ার প্রয়োজন বোধ করেননি তারা। আর তাতেই মাঝ রাস্তায় বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারাতে হল জেহানাবাদের এই শিশুটিকে।

অভিযোগ, আজ সকালের দিকে অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় শিশুটিকে বালা বিঘা গ্রাম থেকে জেহানাবাদের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তার বাবা-মা। রাস্তায় কংগ্রেস. আরজেডি এবং জন অধিকার পার্টির অবরোধে আটকে পড়ে তাদের অ্যাম্বুল্যান্স। পথেই বিনা চিকিৎসায় প্রাণ যায় ২ বছরের মেয়েটির। শিশুটির বাবা-মায়ের দাবি, তাঁরা যদি সঠিক সময়ে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারতেন তাহলে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেত সো। যদিও, জেহানাবাদের মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, শিশুটির মৃত্যুর সঙ্গে বনধের কোনও যোগ নেই। মহকুমা শাসক পরিতোষ কুমার বলেন, "শিশুটির মা বাবাই বাড়ি থেকে বেরতে দেরি করেছিল। সেকারণেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে বনধের কোনও সম্পর্ক নেই।"

এদিকে, এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস তথা বিরোধীদের বনধকে তীব্র আক্রমণ শানাল বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন,"বিরোধীরা মানুষের সঙ্গে নেই, সরকার মানুষের সঙ্গে আছে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও সরকার সংবেদনশীল। কিন্তু বনধ করে কোনও সুরাহা হয় না। চারিদিকে যে হিংসা ছড়িয়েছে তাঁর দায় কে নেবে? যে শিশুটির প্রাণ গেল তাঁর দায় কে নেবে?" এরপর অবশ্য মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে সুর কিছুটা নরম করে তিনি বলেন, "জ্বালানির দাম বাড়া নিয়ে সরকারও চিন্তুত। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেও নেই। আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব পড়ছে ভারতের বাজারে।"