দলিত আইনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, অশান্ত বহু রাজ্য

দলিত হিংসা প্রতিরোধ আইনে প্রস্তাবিত সংশোধনীর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চালাল উচ্চবর্ণের একাধিক সংগঠন। সংগঠনগুলির ডাকা এ দিনের ভারত বন্‌ধে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান-সহ একাধিক রাজ্যে গোলমাল ছড়ায়। ভোটের আগে উচ্চবর্ণের এই বিক্ষোভ চিন্তা বাড়িয়েছে বিজেপির। 
মধ্যপ্রদেশ, বিহার, উত্তরপ্রদেশের নানা জায়গায় টায়ার, কুশপুতুল পোড়ানো হয়। রেল অবরোধ হয়। বহু জায়গায় ক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেতারা। মার খান বিহারের সাংসদ পাপ্পু যাদব। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রেও বিক্ষিপ্ত গোলমাল হয়। রাজস্থানে তিন ধর্মঘটী গ্রেফতার হন। 

সব চেয়ে বেশি অশান্তি হয়েছে বিহারে। জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকান। রেললাইন অবরোধ করা হয়। মুজফ্‌ফরপুরে হেনস্থার মুখে পড়েন জন অধিকারী পার্টির প্রধান ও বিহারের সাংসদ রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব। গুরুতর জখম পাপ্পু বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন, ''ওরা জাত জানতে চাইল। মুখ খুলতেই মার।'' পটনায় বিহার বিজেপির সদর দফতরও ঘেরা হয়।

মধ্যপ্রদেশে কিছু দিন ধরেই মোরেনা, ভিন্দ, গ্বালিয়র, মন্দসৌর প্রভৃতি জায়গায় বিক্ষোভ চলছিল। আগেই কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি হয়। মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ছিল উত্তরপ্রদেশ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানান, এই ভারত বন্‌ধের মানে নেই। সংশোধিত আইনের যাতে অপব্যবহার না হয়, খেয়াল রাখবে তাঁর সরকার। তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান রামশঙ্কর কাঠেরিয়ার অভিযোগ, একটি বিশেষ গোষ্ঠী একই সঙ্গে তফসিলি ও উচ্চবর্ণের আন্দোলনে ইন্ধন দিয়ে আখেরে বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।