প্রেমিককে বিয়ে করতে মেয়েকে খুন করে ম্যানহোলে লোপাট করেছিল মা!


প্রেমিককে বিয়ে করতেই নিজের মেয়েকে খুন করেছিল মা! শ্যামবাজারের শ্যামলাল স্ট্রিটের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার পচাগলা শিশুর দেহ নিয়ে তদন্তের নেমে এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মৃত শিশু জবার মা মণি দাসকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধরা পড়েছে মণির প্রেমিক সোমনাথ সর্দার। পুলিশ সূত্রের খবর, দু'জনেই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে।

প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে গলা টিপে খুন করে মণি দাস। তার পর রাতের অন্ধকারে ম্যানহোলে দেহটি ফেলেও দেয়। যাতে কারও সন্দেহ না হয়। শুধু তাই নয়, মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না রটিয়ে দিয়ে কান্নাকাটিও জুড়ে দিয়েছিল মণি। এমনকি, নিজেই উল্টোডাঙ্গা থানায় নিখোঁজের ডায়েরিও করেছিল।

কেন এমন ঘটনা ঘটাল মণি?
ফুটপাতের বাসিন্দা মণি সম্প্রতি বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। প্রেমিক সোমনাথ তার চেয়ে বয়সে ছোট। তাতে কী? দু'জনে মনস্থির করেন, বিয়ে করবেন। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছিল মণির আড়াই বছরের শিশু জবা।

কিছু দিন আগেই জবা নিখোঁজ হয়ে যায়। সে সময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মেয়েকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াতেও দেখা গিয়েছে মণিকে। কিছু দিন আগেই ম্যানহোলের ভিতর থেকে জবার দেহ পাওয়া যায়। জবাকে খুন করা হয়েছে পুলিশ বুঝতে পারলেও, এই ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছিল না।

ফোনে আড়ি পেতে পুলিশ জানতে পারে সোমনাথ সর্দারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে মণির। আরও তথ্যপ্রমাণ হাতে আসার পর জেরা করা হয় মণিকে। শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে মণি। সোমনাথ নাকি তাকে শর্ত দিয়েছিল, এই মেয়েকে নিয়ে সে মণিকে বিয়ে করতে পারবে না। বাধা সরাতে তাই নিজের মেয়েকেই খুন করে মণি।

শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ শ্যামলাল স্ট্রিটের ওই ফুটপাতের কাছে একটি ম্যানহোল থেকে জবার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু কেউ আঁচ করতে পারেননি, মেয়েকে খুন করে মা নিখোঁজের নাটক করছে।