কোটি টাকার ভারতীয় নোট ওপার বাংলার ছাপাখানায়! ধৃত এপার বাংলার কারবারি


সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে কারবারের পসার জমাতে গিয়ে ধরা পড়লেন এপার বাংলার এক জাল নোট কারবারি। ধৃত ভারতীয় জালনোট চক্রের অন্যতম পাণ্ডা রুবেল হোসেন। তবে তাঁর শাগরেদরা পালিয়ে যায়। একদিন আগেই বাংলাদেশ ব্যাটেলিয়নের হাতে ধরা পড়েছিল বাংলাদেশি জালনোট কারবারি সামসুল আলম। এবার সেই চক্রে মিলল সরাসরি ভারতীয় যোগ।

মালদহ লাগোয়া বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। এই এলাকাতেই জালনোটের কারখানা রয়েছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে এক কোটি টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়। এই টাকার পুরোটাই ভারতীয় নোট। জেএমবির-এই ঘাঁটিতেই ভারতীয় টাকা ছাপিয়ে ভারতে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে গোয়েন্দাদের দাবি।

নোট বাতিল করার পরও নতুন নোটের নকল ছাপিয়ে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই চক্র। এক্ষেত্রেও স্পষ্ট, নোট বাতিল করে আদতে কোনএ লাভ হয়নি। একইভাবেই নতুন নোটের জাল ছেয়ে যাচ্ছে বাজারে। ওপার বাংলা থেকেই তা ছড়িয়ে পড়ছে এপার বাংলা হয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। জালনোট কারবারিরা আগের মতো মালদহকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করছে।

সীমান্তের ফাঁক গলে জালনোটের কারবার দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের রাজধানী শহরেই 'কাঁচা' টাকার কারবারের পর্দাফাঁস করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাটেলিয়ন। সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ধরা পড়েছে জাল নোট পাচার চক্র। সেই চক্রের মূল পাণ্ডা ধৃত সামসুলকে জেরা করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

রাজধানীর বুকে জালনোটের ছাপাখানা খুলে কারবারে পসার লাভ করেছিল ধৃত সামসুল। বাংলাদেশ ব্যাটেলিয়ন গোপন সূত্রে এই খবর পেয়েই অভিযান চালায়। তারপরই প্রকাশ্যে আসে ঘটনা। মহম্মদপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় জালনোট পাচার চক্রের মূল পান্ডা সামসুল আলমকে। তাকে জিজ্ঞাসা করেই জানা যায় এক লক্ষ টাকার জাল নোটের বিনিময়ে পাওয়া যেত ২৫ হাজার টাকা। ভারতের পাচারকারীরা ওই দরেই জালানোটগুলি কিনে নিত। এরপরেই ভারতীয় কারবারি রুবেল হোসেনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে বাংলাদেশ ব্যাটেলিয়ন।