সহজ জীবনযাপনে সবার ওপরে অন্ধ্র

'সহজ কথাটা আসে না সহজে, যা হোক করে বাঁচার গরজে'…

সহজ কথা আসে না, সহজ হাসি নেই ঠোঁটে, সহজ বাঁচা সেই কবেই ভুলেছি আমরা। দেশ জুড়ে কোথায় কত সহজভাবে বাঁচা যায়, তার একটি সমীক্ষা হয়েছিল। তালিকার শীর্ষে উঠে এল অন্ধ্রপ্রদেশের নাম। কেন্দ্রের অম্রুত প্রকল্পের আওতায় এই সমীক্ষা হয়েছিল।

অন্ধ্রপ্রদেশের পরেই তালিকায় রয়েছে ওড়িশা এবং মধ্যপ্রদেশ। আর পশ্চিমবঙ্গ বা কলকাতা? দেশের মোট ১১১ টি শহর অংশ গ্রহণ করলেও তিলোত্তমা নাকি অংশ গ্রহণ করেনি এই সমীক্ষায়। কীসের ভিত্তিতে হয়েছে সমীক্ষা? বেশ কিছু মাপকাঠি ছিল। মূলত শহরের পরিকাঠামো এবং ন্যূনতম পরিষেবা রয়েছে কিনা, সেটাই দেখা হয়েছে সমীক্ষায়।

সমীক্ষা যেহেতু তুলনামূলক, তাই ১০০-এর মধ্যে নম্বর দেওয়া হয়েছে প্রতিটি শহরকে। ৪৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল পরিকাঠামোর জন্য। প্রাতিষ্ঠানিক এবং সামাজিক, এই দুটি মাপকাঠির ওপরই ২৫ নম্বর করে বরাদ্দ ছিল। সমীক্ষার পোশাকি নাম 'ইজ অব লিভিং ইন্ডেক্স'।

সমীক্ষা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানিয়েছেন, "এই সমীক্ষার ফলে ভবিষ্যতে দেশের সব রাজ্য এবং শহর তাদের পরিকল্পনা আরও উন্নত করার চেষ্টা করবে।"

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগে, 'ইজ অব ডুইং বিজনেস' সমীক্ষাতেও শীর্ষে ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ। দেশের মধ্যে এই রাজ্যেই নাকি ব্যবসার উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। আবার সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলল, বেঁচে থাকা নাকি সবচেয়ে সহজ এখানেই।

জানতে ইচ্ছে হয়, সে রাজ্যে সব মানুষ মানুষের জন্যেই বাঁচে কি না। ওদের শহরে পাখির ডাকে ঘুম ভাঙ্গে সব্বার? গভীর রাতেও খুব দরকারে এক দেওয়ালের ব্যবধান মনের দূরত্ব বাড়ায় না তো? নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে না তো কেউ?