নতুন এই গেরুয়া স্যুটেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ভারত

বেঙ্গালুরু: হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০২২-এই মহাকাশে মানুষ পাঠাচ্ছে ভারত। ইসরো বলছে, টার্গেট সেট করা হয়েছে আরও আগে। তাই এখন চলছে শেষ মুহূর্তের তোড়জোড়। এবার প্রকাশ্যে এল সেই মহাকাশ অভিযানের পোশাক।

বেঙ্গালুরু স্পেস এক্সপোতে সম্প্রতি সেই পোশাক প্রকাশ্যে এনেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। জানা গিয়েছে, তিরুঅনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে গত দু'বছর ধরে এই স্পেসস্যুট তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোটি দুটি স্যুট বানানো হয়েছে। আরও একটি বানানো হবে, কারণ তিনজন মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে মহাকাশে।
 
গেরুয়া রঙের স্যিট পরেই মহাকাশে পাড়ি দেবেন ভারতীয় মহাকাশচারীরা। স্যুটে থাকবে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার, যা এক ঘণ্টার অক্সিজেন যোগাতে পারবে।

ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ২০১২-এর ডিসেম্বরেই HSP বা হিউম্যান স্পেসফ্লাইট প্রোগ্রাম লঞ্চ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ডেডলাইনের সঙ্গে কিছুটা ফারাক রাখতে চাইছেন ইসরোর মহাকাশবিজ্ঞানীরা, যাতে কোনও সমস্যা হলেও ২০২২-এর মধ্যেই মহাকাশে পৌঁছনো যায়। কে শিবান আরও জানান, মূল অভিযানের আগে ২০২০ ও ২০২১-এ দুটি আনম্যান্ড মিশন হবে ইসরোর।

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, ২০২২ সালে কোনও ভারতীয় পুরুষ বা মহিলা 'গগনযান'-এ মহাকাশে পাড়ি দেবেন। ভারতের জাতীয় পতাকা মহাকাশে উড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চাইছে। তবে, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করলেই মহাকাশযানগুলি বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণে প্রবল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই তাপকে সহ্য করার মতো প্রযুক্তি তৈরিই মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
 
২০০৭ সালেই ভারত 'রি-এন্ট্রি' প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষাটি করেছিল। ৫৫০ কেজি ওজনের একটি উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠিয়ে ১২ দিন পর আবার তাকে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। এই বাধা টপকানোর পরই দ্রুত এগিয়েছে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কাজ।