আবারও সার্জিক্যাল স্টাইক চালানোর ইঙ্গিত দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নৃশংসভাবে গলা কেটে ভারতীয় জওয়ান নরেন্দ্র সিংকে হত্যা করেছে পাক রেঞ্জার্স৷ এর বদলা নিতে ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি নিচ্ছিল ভারতীয় সেনা৷ পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ২৭ টি লঞ্চপ্যাড তৈরি করে ফেলেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা৷ এমত পরিস্থিতিতে আবারও সার্জিক্যাল স্টাইক চালানোর ইঙ্গিত দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ জানালেন, দু-তিন দিন আগে বড় ঘটনা ঘটানো হয়েছে৷ যা এখনই প্রকাশ্যে আনছে না সরকার৷ কিন্তু যা হয়েছে তা বিশাল বড় কিছু৷ ফলে আবারও সীমান্ত পেড়িয়ে পাক অধিকৃত জমিতে ঢুকে ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সম্ভাবনা আরও প্রকট হচ্ছে৷

জওয়ান নরেন্দ্র সিংয়ের হত্যার প্রতিশোধের প্রসঙ্গ টেনে রাজনাথ বলেন, "দু-তিনদিন আগে বড় কিছু হয়েছে৷ আমি বলব না কি হয়েছে৷ তবে সত্যিই বড় কিছু হয়েছে৷ ভবিষ্যতে সকলেই দেখতে পাবে কি ঘটেছে৷ আমাদের উপরে বিশ্বাস রাখুন" স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যই আরও জোরাল করেছে আবারও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সম্ভবনাকে৷ রাজনাথ সিং আরও বলেন, "আমি জওয়ানদের বলেছি সীমান্তে প্রথম গুলি এই প্রান্ত থেকে না চালাতে৷ কিন্তু যদি ওপ্রান্ত থেকে গুলি আসে তবে মোক্ষম জবাব দিতে হবে৷"

সীমান্তের ওপারে তৈরি হওয়া ২৭টি লঞ্চপ্যাডে ইতিমধ্যে ঘাঁটি গেড়েছে আড়াইশোর বেশি জঙ্গি৷ এই তথ্য আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রকের হাতে তুলে দিয়েছেন গোয়েন্দারা৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাকোঠি, বারারকোট, শার্দি, জুরা এবং হাজিপুরে উপস্থিতি রয়েছে লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিদের। পাশাপাশি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ফরোয়ার্ড কাহুতায় ঘাঁটি গেড়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গিরা। এরা প্রত্যেকে আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সূত্রের খবর৷ এদের উদ্দেশ্য, দক্ষিণ কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় সেনার যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি করা। একইসঙ্গে পাক জঙ্গিদের লক্ষ্য, কাশ্মীরের পুলিশকর্মী ও অফিসারদের অপহরণ ও হত্যা করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া যাতে মুসলিম পুলিশ অফিসাররা ভয়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। আইবি সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লিপা, চানানিয়ান, মান্দাউকালি, নৌকতের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ২৫ থেকে ৩০ জন লস্কর জঙ্গি এখনই ভারতে ঢোকার জন্য প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে৷ এদের আসল লক্ষ্য, কাশ্মীরে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট বানচাল করা। এরা সরাসরি হান্দোয়ারা, গুরেজ, সোপোর, বান্দিপোরা, জাজারকোটলিতে ঢুকে হামলা চালাতে চায়।

সূত্রের খবর, ২৭টি লঞ্চপ্যাডের মধ্যে ১২টি জঙ্গি ঘাঁটিকে ইতিমধ্যেই সরাসরি টার্গেট করে ফেলেছে ভারতীয় সেনা৷ তাদের নির্দিষ্ট অবস্থানও এসে গিয়েছে সেনার হাতে৷ জানা গিয়েছে, লঞ্চপ্যাডগুলির কয়েকটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে রয়েছে এবং কয়েকটি রয়েছে কাশ্মীরে৷ বিশেষ করে উরি ও মাছাল সেক্টরে৷ যেখান দিয়ে মাঝেমধ্যেই মশার মতো অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তানের লালনপালনে বেড়ে ওঠা জঙ্গিরা৷