গড়িয়ার নিখোঁজ গবেষকের দেহ বাগনানে, পকেটে মিলল চিরকুট!

উলুবেড়িয়া: ন'দিন নিখোঁজের পর বাগনান থেকে উদ্ধার গড়িয়ার গণিত গবেষকের দেহ। তাঁর নাম নির্মাল্য বরাট। বাড়ি কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকার গোষ্ঠতলায়। বছর আটচল্লিশের নির্মাল্যবাবু গতমাসের ২৮ তারিখে নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। এনিয়ে বাঁশদ্রোণী থানায় নিখোঁজের অভিযোগও দায়ের করা হয়। কিন্তু তদন্তে নেমে গবেষকের কোনও হদিশ দিতে পারেনি পুলিশ। তারপরেই বাগনান থেকে উদ্ধার হল দেহ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্ত রিপোর্ট হাতে এলেই দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাগনানের ঘোড়াঘাটা রেল স্টেশনের কাছে ট্রেনের ধাক্কায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। রেলপুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাতে গেলেই পকেট থেকে উদ্ধার হয় দুটি ফোন নম্বর লেখা চিরকূট। সেই ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই মৃতের পরিচয় সামনে আসে। তখন থেকেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে রেলপুলিশের তরফে খবর যায় বাগনান থানায়। তদন্তে নামে বাগনান থানার পুলিশ। কলকাতার বাঁশদ্রোণী থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নির্মাল্যবাবুর পরিজনরা গিয়ে তাঁর দেহ শনাক্ত করেন। তারপর দেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাঁশদ্রোণীর গবেষক কী কাজে বাগনানে গিয়েছিলেন, তানিয়ে ধন্দে পুলিশ। বাড়ির লোকজনও বিষয়টি সম্পর্কে কোনও আলোকপাত করতে পারেননি।

পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, গবেষণার কারণে আমেরিকায় থাকতেন নির্মাল্যবাবু। বছর চারেক আগে দেশে ফেরেন। কিছু একটা গবেষণার কাজ করছিলেন তিনি। অন্যমনস্কতার কারণেই কী প্রাণ গেল গবেষকের? নাকি তাঁকে পরিকল্পনা করে মেরে ফেলা হল? রহস্যমৃত্যু নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। বাগনানে যদি কারওর সঙ্গে দেখাই করতে যান তাহলে কে সে? নিজের পকেটে কেন স্ত্রী ও পুত্রের ফোন নম্বর রাখলেন ওই গবেষক? তবে তিনি কি মৃত্যুভয় পাচ্ছিলেন? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় বাকরুদ্ধ গবেষকের পরিবার। প্রয়োজনে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।