ধর্ষিতার বাবাকে ‘‌গুরু’‌ মানত অভিযুক্ত পঙ্কজ

চণ্ডীগড় - হরিয়ানার রেওয়ারি গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত সেনাকর্মী পঙ্কজ নির্যাতিতার পরিবারের ঘনিষ্ঠ। পঙ্কজের বাবা তিন বছর আগে মারা গেছেন। ধর্ষিতের বাবাকে পঙ্কজ কবাডিতে '‌গুরু'‌ মানত। এভাবেই ওই পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করেছিল সে। পঙ্কজ কোটায় এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্টে কাজ করে। চাকরি পেয়েছে দেড় বছর আগে। চাকরি পেয়ে নির্যাতিতার বাবাকে পঞ্চায়েতের সামনে সম্মানিত করেছিল পঙ্কজ। সেই পঙ্কজের এই কাণ্ড। একেবারে পরিকল্পনা করে সঙ্গীদের নিয়ে ধর্ষণ করেছে রাজ্যের কৃতী ছাত্রীটিকে। ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেছে। মূল অভিযুক্তদের মধ্যে নিশু ফোগত ধরা পড়েছে। পঙ্কজ, মণীশের খোঁজ নেই। মণীশ আর পঙ্কজ তুতো ভাই। পাঁচ দিনের জন্য পুলিস হেফাজতে রাখা হয়েছে নিশুকে। নির্যাতিতার অবস্থা সঙ্কটজনক দেখে নিশু ডাক্তার ডেকে এনেছিল। গত নভেম্বরে বিয়ে হয়েছে পঙ্কজের। তার স্ত্রী ৬ মাসের গর্ভবতী।

সোমবার হরিয়ানার ২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত মহাপঞ্চায়েত বলেছে, সেখানকার কোনও আইনজীবী অভিযুক্তদের হয়ে মামলা লড়বে না। কোসলি টাউনে বৈঠকের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য হরিয়ানার রাজ্যপালকে লিখিত আর্জি জানিয়েছে মহাপঞ্চায়েত। ন্যায়বিচারের দাবিতে দিল্লির হরিয়ানা ভবনের বাইরে প্রতিবাদে সামিল হন নারী অধিকার রক্ষাকারী বিভিন্ন সংগঠন। দেশ জুড়ে শোরগোল। চাপে খট্টর সরকার এবং হরিয়ানা পুলিস। পলাতকদের খোঁজ চলছে বিভিন্ন রাজ্যে। রেওয়ারির এসপি রাজেশ দুগ্গলকে বদলি করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় আসা রাহুল শর্মা সোমবার বলেন, '‌অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করলেই মামলার নিষ্পত্তি হবে না। তাদের সাজা নিশ্চিত করতে হবে। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ফাস্ট ট্র‌্যাক কোর্টে শুনানির বন্দোবস্ত করতে হবে। ‌নির্যাতিতার সঙ্গে কথা হয়েছে।'‌

সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে বাস স্ট্যান্ডে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তরা। রেওয়ারি সিভিল হাসপাতালের ডাক্তাররা জানান, '‌চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে নির্যাতিতা। তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। খাওয়াদাওয়া করছেন।'‌  হাসপাতালে বাইরের লোকজনের সঙ্গে দেখা করায় আপত্তি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। পুলিস সেইমতো ব্যবস্থা করছে। রেওয়ারির ডেপুটি কমিশনার অশোককুমার শর্মা বলেন, 'আমি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। তাঁদের অনুরোধমতো বাইরে একটা কেবিন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বহিরাগতরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তাঁরা চাইলে বাইরের লোককে ভেতরে নিয়ে যেতে পারেন।'‌