২৮ কোটি টাকার পাচারের সোনা আত্মসাতের চেষ্টা, জালে ৫ সেনা ও পুলিসকর্মী


সোনা পাচারের বড়সড় চক্রের পর্দাফাঁস হল। সিআইডি-র জালে ধরা পড়লেন রাজ্যে পুলিসের  দুই কর্তা ও দুই সেনা কর্মী সহ মোট পাঁচজন। 

কেঁচো খুড়তে গিয়ে কেউটে বেরল। সোনা পাচারকারী ধরতে তদন্তে নেমেছিল সিআইডি। জালে ধরা পড়লেন দুই পুলিস, দুই সেনা কর্মী সহ মোট পাঁচজন। ভূটান সীমান্ত পার করে এদেশে ঢুকছে বেআইনি সোনা। কয়েকমাস ধরেই খবর ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে। তদন্তে নেমে নজরদারি শুরু করে সিআইডি।

গোপন সূত্রে জানা যায়, ১৫ কিলোগ্রাম বেআইনি সোনা ভূটান থেকে এদেশে পাচার হবে। ১০ সেপ্টেম্বর সিআইডি-র নজরে আসে, পাচার সোনা ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু পুলিস কর্মী সোনা বাজেয়াপ্ত করার পরও সরকারিভাবে তা দেখাননি। এরপরই অভিযুক্ত ২ পুলিস কর্মী, জয়গাঁর এসডিপিও অনিরুদ্ধ ঠাকুর ও বারোবিশার ওসি কমলেন্দ্র নারায়ণের ওপর নজরদারি শুরু করে সিআইডি।

তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ২৮ কোটি টাকা মূল্যের সোনা পাচারকারীদের থেকে বাজেয়াপ্ত করে আত্মসাত্‍ করার চেষ্টা করছিলেন দুই পুলিস কর্মী। চক্রের আরও দুই চাঁই হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পবন ব্রম্ভ ও সেনা কনস্টেবল দশরথ সিং। এই দুই সেনা কর্মীই বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে কর্মরত। ধৃতদের কাছ থেকে ১৫ কেজি  পাচার সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে।  সিআইডি-র পাশাপাশি সোনা পাচারের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ইস্টার্ন কম্যান্ডও।