ভাগাড়কাণ্ডের পর ভেজাল মশলার কারখানা খাস কলকাতায়!

পুজোর আগে ভেজাল মশলা উদ্ধারে বড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। পোস্তার গোডাউন থেকে প্রায় ১৬০০ কেজি ভেজাল মশলা ও মশলার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ভেজাল মশলা তৈরির অভিযোগে পুলিশ প্রমোদকুমার গুপ্ত(৩৪ ) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হওয়া মশলার নমুনা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

বেশ কয়েক মাস কলকাতা সরগরম ছিল ভাগাড়ের মাংস নিয়ে। পুজোর আগে ভাগাড়ের মাংস নিয়ে নতুন কোনও খবর না পাওয়া গেলেও, যে খবর পাওয়া গেল তাতে ভাগাড়ের মাংসের থেকে কম কিছু নয়। কলকাতা পুলিশের অভিযানে উদ্ধার ১৬০০ কেজি ভেজাল মশলা। যার মধ্যে রয়েছে, ধনিয়া, হলুদ, লাল লঙ্কা, জিরে। ভেজালের সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে, ২৫০ কেজি অ্যারারুট, ১৫০ কেজি পাউডার রং, ৮৪ কেজি লাল রং এবং একটি ওজন করার যন্ত্র। উদ্ধার হওয়া মশলার মূল্য ৩.২ লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশের অনুমান, গ্রেফতার হওয়া যুবক শরীরের পক্ষে মারাত্মক রং লঙ্কার গুড়োর মধ্যের মেশানোর জন্য রেখেছিল। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর অভিযুক্ত নামী ব্রান্ডের প্যাকেটে ভেজাল মশলা ভরে বিক্রির জন্য পাঠিয়ে দিত। এই ধরনের মশলা যাতে বাজারে বিক্রি না হয়, সেজন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইবি। সংস্থার তরফ থেকে পোস্তার গোডাউনটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গুদামের বাইরে ধনিয়ার অংশ বিশেষ পড়ে থাকতে দেখেছিলেন তারা। সম্ভবত সেই থেকে ধনে গুড়ো তৈরি করে ভেজাল মেশানোর কাজ করা হয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি, ওই ব্যবসায়ী যুবক ধনিয়ার গুড়ো না বিক্রি না করলেন ধনিয়া গাছের কাণ্ড বিক্রি করত।

লালবাজারের এক আইপিএস অফিসার জানিয়েছেন, বাজারে ভেজাল মশলা দূর করতে তাঁরা এই ধরনের আরও অভিযান চালাবেন।

ভেজাল হিসেবে যেসব জিনিস ব্যবহার করা হত. তার মধ্যে রয়েছে, বালি, ধুলো, কৃত্রিম বং, অ্যারারুট, চক পাউডার, কাঠের গুড়ো, লেড ক্রোমেট। এর মধ্যে অনেকগুলোই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে জানা গিয়েছে।